হবিগঞ্জ প্রতিনিধি: হবিগঞ্জে শিলাবৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ায় ঘরবাড়ি ও গাছপালার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ২ এপ্রিল বিকেল থেকে হবিগঞ্জে হালকা বৃষ্টিপাত শুরু হয়। কিছুক্ষণ পরে শুরু হয় ঝড়ো হওয়া ও শিলাবৃষ্টি। এ অবস্থা চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত। রাতে আকাশ মেঘলা রয়েছে।
এ ঝড়ে বিশেষ করে জেলার চুনারুঘাট, শায়েস্তাগঞ্জ, বাহুবলসহ বিভিন্ন এলাকায় কাঁচা ঘরবাড়ি ও রাস্তার গাছ ভেঙে পড়ে। কিছু পরিমাণে মৌসুমী ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ১৩টি বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়ে ও ৬২টি স্থানে তার ছিড়ে পড়ায় প্রায় সাড়ে ৩ ঘন্টা বিদ্যুৎ বন্ধ ছিল। রাত প্রায় সাড়ে ৯টায় অনেক স্থানেই বিদ্যুৎ চালু হয়। এর মাঝে কয়েকটি স্থানে বিদ্যুৎ লাইনের মেরামত চলছে। রাতের মধ্যে কাজ শেষ হলেই পুরোপুরিভাবে লাইন চালু হবে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, শায়েস্তাগঞ্জ-হবিগঞ্জ বাইপাস সড়কে কমপক্ষে ২০টি গাছ ভেঙে গেছে। একইভাবে জেলার চা-বাগান, পাহাড়ি টিলা ও বিভিন্ন গ্রামেও গাছপালার ক্ষতি হয়েছে।
এ ব্যাপারে জলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন, সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে তালিকা পেলে দরিদ্রদের ঘরবাড়ির জন্য সহায়তা করা হবে। ক্ষয়ক্ষতি পরিমাণ পুরোপুরি জেনে বলা যাবে।
হবিগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (শস্য) কৃষিবিদ মোঃ জালাল উদ্দিন বলেন, জেলায় ফসলের তেমন কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। ১০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। তারপরও মাঠ পর্যায়ে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা কাজ করছেন।
হবিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার মোঃ মোতাহার হোসেন বলেন, করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতেও জীবন বাজি রেখে লাইন মেরামতের কাজ করছে দায়িত্বপ্রাপ্তরা। রাতেই সবস্থানে লাইন স্বাভাবিক হবে। তিনি জানান, ৬২টি স্থানে তার ছিড়ে ও ১৩টি খুঁটি ভাঙায় প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এম এম চৌধুরী/এইচ