মো. রাসেল হোসেন: ঢাকার ধামরাই পৌর শহরে প্রথম থেকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবেলা করতে নিজে পায়ে হেঁটে পৌর শহরের বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় সচেতনতামূলক প্রচার করছেন পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র আলহাজ্ব গোলাম কবির মোল্লা ।
সর্বপ্রথম দেশে যখন ৮ মার্চ করোনাভাইরাস শনাক্ত হয় তখন থেকে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে পৌরবাসীকে দিনে ও রাতের বেলায় হ্যান্ডমাইক নিয়ে পায়ে হেঁটে মাইকিং এবং সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করছেন।এবং সুস্থ থাকার জন্য সাবান, মাস্ক এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ করেন। যার যার নিজ বাসায় অবস্থান করার জন্য আহব্বান জানান পৌর মেয়র নিজে পাড়া মহল্লায় ঘুরে ঘুরে ।
করোনা ভাইরাসের কারণে দুস্থ ও কর্মহীন হয়ে পড়া পৌর শহরের প্রায় তিন হাজার পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরন করছেন। খাদ্য সামগ্রীর তালিকায় ছিল, চাউল, ডাউল, আলু, পিঁয়াজ, তৈল, ডাউল, লবণ বিতরণ করেন।
শুধু তাই নয় নিজ বাসায় অবস্থান করতে উৎসাহ প্রদান করার জন্য পৌর শহরের প্রায় ৮ হাজার বাড়িতে শুভেচ্ছা সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন এই পৌর মেয়র। শুভেচ্ছা তালিকায় ছিল এক প্যাকেট চা, দুই প্যাকেট বিস্কুট ও এক প্যাকেট মুড়ি। এই মহতি উদ্যোগকে পৌরবাসী স্বাগত জানিয়েছেন।
এছাড়াও পৌর মেয়র করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় পৌরসভায় চালু করেছেন কন্ট্রোল রুম, এবং প্রচার করে দিয়েছেন হটলাইন নম্বর। হটলাইন নম্বরে যে কোন সমস্যার জন্য ফোন দিলেই পৌর মেয়র নিজেই সমস্যা সমাধানের জন্য ছুটে জান। এর সাথে কিন্তু ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের যিনি দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা রয়েছেন ড. নূর রিফাত আরার সাথে সর্বক্ষনিক যোগাযোগ রাখছে।
এ ছাড়াও পৌর শহর জীবাণুমুক্ত রাখতে প্রতিদিন দুই বার পৌর শহরের প্রধান সড়ক সহ সকল রাস্তায় জীবাণুনাশক ওষুধ ছিটানো হচ্ছে। পাশাপাশি মশক নিধন স্প্রে করা হচ্ছে। সামাজিক দুরত্বে কাঁচাবাজার বসিয়েছেন যাত্রাবাড়ি ও ইসলামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে। পাড়া মহল্লার অলিগলি ও প্রধান বাজারের সড়ক দিয়েও রিকশা-ভ্যান চলাচল নিষিদ্ধ করেছেন। রাস্তার প্রবেশদ্বারে বসিয়েছেন পৌর কর্মী স্বেচ্ছাসেবক, যাতে বাহির থেকে অপরিচিত কেউ পৌরসভার ভিতরে প্রবেশ করতে না পারে। সকল কাজে পৌর কর্তৃপক্ষকে সহায়তা করছে সামাজিক সংগঠন নিরাপদ সড়ক চাই ধামরাই শাখার সদস্যরা।
এ ব্যাপারে পৌর মেয়র আলহাজ্ব গোলাম কবির মোল্লা বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ মতে আমি শুরু থেকে পৌর শহরের বসবাসরতদের সচেতন রাখতে দিনরাত কাজ করেছি।আমার পৌরসভার পক্ষ থেকে যতটুকু সম্ভব কর্মহীন পরিবার ও অসহায় দুস্থ পরিবারকে সাহায্য করেছি এবং আমার নিজ তহবিল থেকে যতটুকু সম্ভব সাহায্যের চেষ্টা করছি। আর করোনার সংক্রমণ শুরু থেকেই আমাদের মাননীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব বেনজির আহমদ দুস্থ ও কর্মহীন পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
এ পর্যন্ত ধামরাইয়ে দু জন করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে আমার পৌর শরের একজন ভাড়াটিয়া তিনি হলেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্টাফ। আর একই পরিবারের মা ছেলে দুইজন আক্রান্ত হয়েছেন আমার পৌরশহরের নিকটবর্তী এলাকা ধামরাই সদর ইউনিয়নের হাজিপুর পালপাড়া। তাই আমি পৌরবাসীকে আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক হওয়ার আহবান জানিয়েছি।