টাঙ্গাইলে একই পরিবারের ৫ জন করোনায় আক্রান্ত

আরিফুল ইসলাম, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলে করোনায় নতুন করে একই পরিবারের আরও ৪জনসহ মোট ৫জন আক্রান্ত হয়েছেন। এই নিয়ে জেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তের মোট সংখ্যা দাঁড়ালো ১৮ জনে।

নতুন আক্রান্ত ৫ জনের মধ্যে সখীপুর উপজেলার একই পরিবারের ৪জন ও গোপালপুরে আরও একজন রয়েছে।

শুক্রবার (২৪ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৭টায় জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ওয়াহীদুজ্জামান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সিভিল সার্জন জানান, ‘বৃহষ্পতিবার জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে ১১৩ জনের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকার আইইডিসিআরে পাঠানো হয়। সেখান থেকে গতকাল রাতে মুঠোফোনে ৫ জনের নমুনা পজেটিভ থাকার কথা জানানো হয়। এদের মধ্যে সখীপুরে একই পরিবারের ৪জন ও গোপালপুরে আরও একজন রয়েছেন। আক্রান্ত ৫ জনই এখন পর্যন্ত সুস্থ ও নিজ বাড়িতে রয়েছেন। আজ তাদের সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’

তিনি আরও জানান, ‘বৃহস্পতিবার পর্যন্ত জেলায় মোট এক হাজার ৪৪ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হয়েছিলো। তাদের মধ্যে ১৮ জনের করোনা পজেটিভ পাওয়া গেলো। আক্রান্তদের মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১জনের মৃত্যু হয়েছে। আরও দুইজন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে এসেছেন।’

সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আব্দুস সোবহান বলেন, ‘গত ২১ এপ্রিল মঙ্গলবার উপজেলার লাঙ্গুলিয়া এলাকার এক ব্যক্তির করোনা পজেটিভ ধরা পড়ে। তিনি ঢাকায় কাঁচামালের ব্যবসা করতেন। করোনা ধরা পড়ার ১৯ দিন আগে তিনি ঢাকা থেকে নিজ বাড়িতে চলে এসেছিলেন। তারপর দুইদিন ধরে হালকা জ্বর থাকায় তার নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো হয়। পরে তার রিপোর্ট পজেটিভ আসে। এরপরই গত ২২ তারিখে ওই ব্যক্তির পরিবারের সদস্যসহ সংস্পর্শে এসেছে এমন ১১ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে আইইডিসিআরে তাদের নমুনা পাঠানো হলে সেখান থেকে ৪ জনের নমুনা পজেটিভ আসে। তারা হলো, গত ২১ তারিখে করোনা ধরা পড়া ওই ব্যক্তির স্ত্রী, তাদের দুই ছেলে ও এক মেয়ে। তাদের করোনার কোন লক্ষণ নেই। তারপরও তাদের নিজ বাড়িতে আপাতত রাখা হয়েছে। এরআগে তাদের গত ২১ তারিখই তাদের বাড়িসহ আশেপাশের ৩২টি বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছিলো।

এদিকে জেলার গোপালপুরে এক নারী (২০) গার্মেন্টস কর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।

গোপালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা ডা. আলীম আল রাজি বলেন, ‘আক্রান্ত ওই নারী ঢাকার একটি পোশাক তৈরী কারখানায় কাজ করতেন। তিনি গত কয়েকদিন আগে গোপালপুরের ধোপাকান্দি ইউনিয়নের কামদেব বাড়ী এলাকার নিজ বাড়িতে চলে আসেন। গত ৪-৫ দিন ধরে তার হালকা জ্বর থাকায় বিষয়টি উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগকে জানান। পরে গত বুধবার তার নমুনা সংগ্রহ করে বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকার আইইডিসিআরে পাঠানো হয়। সেখান থেকে গতকাল রাতেই তার নমুনা পজেটিভ থাকার কথা জানানো হয়। আক্রান্তের শারীরিক অবস্থা ভালো রয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের সাথে কথা বলে তার বাড়ি ও আশেপাশের এলাকা লকডাউনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

 

Print Friendly

Related Posts