বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ সম্পূূর্ণ বেসরকারি উদ্যেগে নিজস্ব অর্থায়নে পরিচালিত সারাদেশে প্রায় ৪০,০০০ কিন্ডারগার্টেন স্কুল রয়েছে। এসব স্কুলে লেখাপড়া করছে প্রায় ১ কোটিরও বেশি শিক্ষার্থী। শিক্ষক কর্মচারী রয়েছে প্রায় ৬লাখ। দেশের প্রাথমিক শিক্ষার প্রায় শতকরা ৩০ভাগ চাহিদা এ স্কুলগুলো পূরণ করে থাকে।
বিশ্বব্যাপি করোনাভাইরাসের কারণে বন্ধ রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। এ কারণে বন্ধ রয়েছে শিক্ষার্থীদের বেতন। শিক্ষার্থীদের মাসিক বেতনের উপর নির্ভর করেই শিক্ষকদের বেতন ও বাড়িভাড়া পরিশোধ করতে হয়। এছাড়া শিক্ষকগণ প্রইভেট পড়িয়ে যে আয় করতেন সেটাও পুরোপুরি বন্ধ। এ পরিস্থিতিতে দুর্বিসহ কষ্টে পড়ে গেছেন কিন্ডারগার্টেন শিক্ষক ও কর্মচারীরা।
কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মিসেস মনোয়ারা ভূঁইয়া ও মহাসচিব মোঃ মিজানুর রহমান এক বিবৃতিতে বলেন- সরকার সাধারণদের যে ত্রাণ বা প্রণোদনা দিচ্ছেন শিক্ষকরা সম্মানের খাতিরে ত্রাণের জন্য রাস্তায়ও দাঁড়াতে পারে না আবার অনটনও সহ্য করতে পারেন না। প্রধানমন্ত্রী যে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন তাতে কিন্ডারগার্টেন স্কুল শিক্ষক কর্মচারীদের মরণ ছাড়া উপায় দেখছি না। এ অবস্থা চলতে থাকলে দেশের প্রায় ৮০% ভাগ বেসরকারি স্কুল বন্ধ হয়ে যাবার উপক্রম হবে।
তারা বিবৃতিতে আরো বলেন- বেসরকারী স্কুল শিক্ষকরা কখনো সরকারের কাছে বেতন ভাতার জন্য আবেদন করেনি। এ সকল স্কুলগুলো যদি না থাকতো তাহলে সরকারকে আরো ২৫ থেকে ৩০ হাজার বিদ্যালয় স্থাপন করে প্রতি মাসে শিক্ষক বেতন বাবদ কোটি কোটি টাকা ব্যয় করতে হতো। সেদিক থেকে আমরা সরকারের বিরাট রাজস্ব ব্যয় কমিয়ে দিয়েছি। বর্তমান পেক্ষাপটে এ প্রতিষ্ঠানগুলো টিকিয়ে রাখার স্বার্থে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত ১০০ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা থেকে আমাদের জন্য ৫০ কোটি টাকার প্রনোদনা বা আর্থিক অনুদান চাই।
এখন রমজান মাস চলছে। সামনে ঈদুল ফিতর। কিন্ডারগার্টেন শিক্ষকদের নিশ্চিন্তে রোজা ও ঈদ উদ্যাপনের জন্য এই প্রণোদনা একান্ত আবশ্যক।