রিপন শান: ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার নীলকমল ইউনিয়ন পরিষদে জেলে পুর্নবাসনের চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে । অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহি অফিসার রুহুল আমিন ৩০ এপ্রিল ২০২০ বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থলে গিয়ে রাস্তার পাশ থেকে ৪৪০কেজি চাল জব্দ করে ওজনে কম দেওয়ায় ওজনদার এর পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ- নীলকমল ইউপি চেয়ারম্যান প্রকৃত জেলেদের বাদ দিয়ে অনৈতিক সুবিধা গ্রহণ করে তার পছন্দের ব্যক্তিদের স্লিপের মাধ্যমে চাল দেন এবং ওই চাল ওজনে কম দেয়া হয়। স্থানীয়রা উপজেলা নির্বাহি অফিসারকে অবহিত করলে উপজেলা নির্বাহি অফিসার ঘটনাস্থলে গেলে ১৪ জন চাল রেখে পালিয়ে যায়। পরে ৩জন জেলের কার্ড দেখালে তাদের চাল দিয়ে দেয়া হয় । বাকি ১১জনের জেলে কার্ড দাখিল করতে না পারায় তাদের ৪৪০ কেজি চাল জব্দ করা হয়।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুহুল আমিন জানান- ১৪ জনের চাল জব্দ করা হয়েছে। তিনজন প্রমানপত্র দেখাতে পাড়ায় তাদের চাল দেয়া হয়েছে। বাকি চালপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা জেলে হিসেবে প্রমাণপত্র নিয়ে আসতে না পারায় চাল জব্দ করা হয়েছে এবং ওজনে কম দেয়ায় ওজনদার এর পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
নীলকমল ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন হালদার তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সত্য নয় দাবি করে বলেন- নিবন্ধিত জেলেদেরকে চাল দেয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৪ জেলে চাল উত্তোলন করে বাহিরে চাল বিক্রি করতে গেলে ওই চাল উদ্ধার করা হয়।
চাল কম দেয়ার বিষয়ে বলেন- খাদ্যগুদাম থেকে প্রতি বস্তায় ২/১ কেজি করে চাল কম দেয়া হয়।
এদিকে এদিন উপজেলা নির্বাহি অফিসার ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রুহুল আমিন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ১২ জনের ৩৬ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছেন।