এস.এম ইলিয়াস জাবেদ,কলাপাড়া: পটুয়াখালীর কলাপাড়ার মহিপুর থানাধীন ডালবুগঞ্জ ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের চৌকিদার আবু সালেহ দীর্ঘ ১৭ মাস ধরে আত্মসাৎ করে আসছিলেন সরকারি খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির ১১ অসহায়ের চাল।
গত ২১ এপ্রিল তার এই অপকর্ম হাতেনাতে ধরেন একই ওয়ার্ডের মেম্বার মিজবা খান। সাথে সাথে তার এই কান্ড প্রকাশ পায় বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায়। ভুক্তভোগীরা তাদের চাল আত্মসাৎকারি চৌকিদারের বিচারের দাবিতে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পৃথক পৃথক ভাবে অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগের পর লকডাউন পরিস্থিতিতে তেমন কোন সাড়া না আসায় ফের বেপরোয়া হয়ে ওঠেন চৌকিদার। ফলে তার বিচারের দাবিতে গ্রামবাসীরা গণস্বাক্ষরের উদ্যোগ নেয়।
এই স্বাক্ষর কার্যক্রমে অংশ নিয়ে বিচার চাওয়ার কারণে চৌকিদার ও তার পরিবারের লোকজন মিলে বৃহস্পতিবার বিকেলে ৩ জনকে বেধড়ক মারধর করে।
মারধরে আহতরা হলেন ডালবুগঞ্জের বরকোতিয়া গ্রামের হাসান খান (৩৮), সাহাদাত গাজী (৫৪) ও জিয়া কাজী (৩০)। তারা জানান, আবু সালেহ চৌকিদার, তার পিতা আইয়ুব আলী ফরাজি, ফারুক ফরাজি, মঞ্জু ফরাজি ও মামুন ফরাজি মিলে এই বেধড়ক মারধরের ঘটনা ঘটায়।
জানা যায়, হাসান খান বাদি হয়ে এ ব্যাপারে মহিপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এ ব্যাপারে মহিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মনিরুজ্জামান জানান, অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমরা তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহণ করবো।