আরিফুল ইসলাম, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের বাসাইলে সর্টসার্কিটের আগুনে এক বিধবার মুদি ও কনফেকশনারী দোকান এবং কোমলপানীয়, টয়লেট্রিজ, শুকনো খাবারের গোডাউন আগুনে পুড়ে গেছে।
রোববার (৩ মে) রাত সাড়ে বারোটার দিকে উপজেলার পৌরএলাকার পশ্চিমপাড়ার বিধবা ডলি বেগমের দোকান এবং দোকান সংলগ্ন গোডাউনে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। অগ্নিকান্ডে প্রায় ১৭ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন, ক্ষতিগ্রস্থ ডলি বেগম এবং পাপন আলী খান।
এলাকাবাসী জানায়, রোববার রাত সাড়ে বারোটার দিকে ওই দোকান ও গোডাউনে আগুন দেখতে পেয়ে চিৎকার শুরু করেন স্থানীয়রা। এসময় বাসাইল ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে মুহূর্তের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। প্রায় পৌনে একঘন্টা সময় চেষ্টার পর আগুন নেভাতে সক্ষম হয়।
বিধবা ডলি বেগম বলেন, প্রায় ৩ বছর আগে আমার স্বামী মারা যায়। দুই শিশু সন্তানকে নিয়ে বসবাসের একমাত্র ঘরের একাংশে দোকান করেছি বাকি অর্ধেকে গোডউন ভাড়া দিয়েছি। এই উপার্জনের টাকাই শিশুসন্তানের মুখে ডালভাত আর লেখাপড়ার জোগাড় হতো। সর্বনাশা আগুন আমার উপার্জনের এই একমাত্র সম্বলটুকুও কেড়ে নিলো।দোকানের মালামাল, ফ্রিজ, টেলিভিশন, ওজন মেশিন, ফার্নিচারসহ প্রায় পাঁচ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি আমি কিভাবে কাটিয়ে উঠবো?
দোকান সংলগ্ন গোডাউনের মালিক পাপন আলী খান বলেন, প্রান আরএফএলের টেং গ্রুপের ১ লক্ষ ৫০হাজার, সজীব করপোর্রেশনের ৩ লক্ষ, র্যাকিড বিন কেজারের ৪ লক্ষ, হুগলি বিস্কুটের ২ লক্ষ ৫০ হাজার, এবং রাজা ফুড প্রডাক্টের ৭০ হাজার টাকা সবমিলিয়ে প্রায় ১২ লক্ষ টাকার মালামাল পুড়ে গেছে আমার। নিজের শেষ সম্বলসহ বিভিন্ন জায়গায় ঋণ করে পাঁচ বছর চেষ্টার পর ব্যবসায় এই জায়গায় এসে আজ আগুন আমাকে সর্বশান্ত করে পথে বসালো।
বাসাইল ফায়ার সার্ভিসের ষ্টেশন অফিসার ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, রাত সাড়ে বারোটার দিকে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছাঁই। আধাঘন্টারো বেশি সময় চেষ্টার পর আমার কর্মিরা আগুন নেভাতে সক্ষম হয়েছে। সর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে আমরা ধারনা করছি।