রিপন শান: দ্বীপজেলা ভোলাতে সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডে রয়েছে এমন একটি কিশোর গ্যাং যারা জড়িয়ে রয়েছে বিবিধ অপকর্মে।
সম্প্রতি ভেদুরিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব তাজুল ইসলাম মাস্টার কর্তৃক একটি তালিকা প্রকাশিত হয়েছে ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের। যেখানে কিশোর গ্যাং এ জড়িতদের নাম রয়েছে। ভেদুরিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, “অপকর্মে জড়িয়ে থাকা কিশোরদের তান্ডবে স্থানীয় জনতা কর্তৃক একটি লিস্ট আমার কাছে এসেছে।” পরে তিনি ঐ ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যর সাথে যোগাযোগ করে কিশোর গ্যাংয়ের তালিকা প্রকাশের বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করেন।
এই তালিকায় যাদের নাম রয়েছে তারা হচ্ছে, ভেদুরিয়া ৫নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা, মানিক ঢ়াড়ীর ছেলে মো. রাকিব (১৮), আবু তাহের মিস্ত্রির ছেলে মো. ইব্রাহিম (১৭), সাজু মিস্ত্রির ছেলে মো. ইউসুফ (১৫), আলাউদ্দিন মিস্ত্রির ছেলে মো. হাসান (১৭), ফরিদের ছেলে মারুফ (১৫) সহ বাচ্চুর মিয়ার ছেলে মো. নাঈম (১৭)।
সুত্র জানিয়েছে, গত ১২ মে একদফা মারামারি করার মাধ্যমে তাদের নাম প্রকাশ্যে চলে আসে । যে সংঘর্ষে বিপক্ষ গ্রুপের দুজন ও কিশোর দলের ইব্রাহিমের পিতা মারাত্মক জখম হয়। আর এই সংঘর্ষের মূলহোতা এই কিশোর গ্যাং। সন্তানের কারনে পিতাদেরকে সমাজের কাছে অপমানিত লজ্জিত ও বিব্রত হতে হয়। এছাড়াও এলাকায় বেশীরভাগ মারামারিতেও রয়েছে এদের হাত।
বিশ্বস্ত সুত্র আরো জানায়, ভেদুরিয়ার কিশোর গ্যাং মারামারি থেকে শুরু করে নিন্দনীয় সব অপকর্মে লিপ্ত রয়েছে। বিভিন্ন এলাকার সাথে দ্বন্দ্ব, সংঘর্ষ, গাছকাটার মত অপরাধে যুক্ত রয়েছে তারা। সময়ের সাথে সাথে এগিয়ে চলছে এদের দাপট। কেউ কিছু বলতে গেলেই আমাদের একটা না একটা অনিষ্ট করবেই। যে কারণে সব মুখ বুঝে সহ্য করতে হয়। কিশোর গ্যাং এলাকায় একটি দল পাকিয়ে রয়েছে যে কারণে তাদের বিরুদ্ধে কথা বলতে ভয় পাচ্ছেন অনেকেই। এদের বেশিরভাগই মাধ্যমিকের দরজা পর্যন্ত টপকায়নি।
ভেদুরিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম মাস্টার জানান, কিশোর গ্যাং এর মত অপরাধ একটি মারাত্মক অপরাধ।যেখান থেকে তৈরী হতে পারে হাজারো সন্ত্রাস। যাতে তাদের ভবিষ্যৎ নষ্ট না হয় সেদিক লক্ষ্য রেখে দ্রুত সামাজিক ও প্রশাসনিক উদ্যোগ জরুরি ।