বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ সুপার সাইক্লোন ‘আম্পান’র তান্ডবে লন্ডভন্ড হওয়া সুন্দরবন উপকূল খুলনার কয়রা উপজেলাবাসী হাঁটু পানির মধ্যেই ঈদের জামাত আদায় করেছেন। ভেঙ্গে যাওয়া বেড়িবাঁধ মেরামত শেষে ৬ সহস্রাধিক গ্রামবাসী ঈদের এ জামাতে অংশ নেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় আম্পানে কয়রা উপজেলার ১১টি পয়েন্টে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। এখনও জমে আছে পানি। এর মধ্যে ২নং কয়রা গ্রামের স্লুইজগেট সংলগ্ন বেড়িবাঁধ মেরামতের লক্ষ্যে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী সোমবার সকালে গ্রামবাসী বাঁধে জড়ো হন। এ সময় তারা বাঁধ মেরামত শেষ করে বেলা ১১টার দিকে বাধ সংলগ্ন হাঁটু পানির মধ্যেই ঈদের জামাত আদায় করেন।
ভাঙ্গণের দু’ পাশে দু’টি জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এর একটি জামাতের ইমাম হিসেবে ছিলেন এ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মাওলানা আ. খ. ম. তমিজ উদ্দিন এবং অপরটির ইমামতি করেন উপজেলা সদর ইউপি চেয়ারম্যান মো. হুমায়ূন কবির। জামাতে অংশ নেন উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম শফিকুল ইসলাম, ইউপি সদস্য ঢালী আক্তারুজ্জামান ও শেখ রোকনুজ্জামানসহ অনেকেই।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন উপজেলা সদর ইউপি চেয়ারম্যান মো. হুমায়ূন কবির। তিনি বলেন, বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ার কারণে গ্রামের লোকজন প্রচন্ড সমস্যায় ছিলেন। যে কারণে গ্রামের ৬ সহস্রাধিক লোক মিলে আমরা আজ ভোর থেকে স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে কাজ করে বাঁধ মেরামত করেছি। পরে কাজ শেষে বেলা ১১টার দিকে আমরা সবাই মিলে ঈদের ২টি জামাত আদায় করি। এতে গ্রামের লোকজন অংশ নেন।
গত ২০ মে সন্ধ্যায় প্রবল গতিতে খুলনাঞ্চলের উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হানে আম্পান। ঝড়ে খুলনার কয়রা উপজেলার ১১টি জায়গায় বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে। এতে কয়রা সদর, উত্তর বেদকাশি, দক্ষিণ বেদকাশি, মহারাজপুর ইউনিয়ন প্লাবিত হয়। প্রচুর পরিমাণে গাছ পালা, কাঁচা ঘর-বাড়ি, রাস্তা ও ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়। এতে কয়রায় ৮টি পয়েন্ট দিয়ে বাঁধ ভেঙে যায়।