বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ করোনা মহামারি ও লকডাউন চলাকালে সাধারণ মানুষের জীবন জীবিকা এমনিতে থমকে আছে। এ অবস্থায় বাস মালিক ও শ্রমিকদের দাবির প্রেক্ষিতে ভাড়া বৃদ্ধি করা হলে তা জনগণের জীবনযাত্রায় নতুন একটি ভোগান্তি ও যন্ত্রণা যোগ করবে। তাই এই জরুরী সংকটকালীন সময়ে বাস ভাড়া বৃদ্ধির মতো হটকারী সিদ্ধান্তে উপনীত না হতে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় ও বিআরটিএর প্রতি আহবান জানিয়েছেন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম।
করোনামহামারীর সংকটকালে তড়িগড়ি করে বাস ভাড়া বৃদ্ধির খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করে ৩০ মে ২০২০ এক বিবৃতিতে ক্যাব নেতৃবৃন্দ উপরোক্ত দাবি জানান। শনিবার গণমাধ্যমে প্রেরিত বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, ক্যাব মহানগরের সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, সাধারণ সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, যুগ্ন সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম ও ক্যাব চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সভাপতি আলহাজ্ব আবদুল মান্নান।
বিবৃতিতে ক্যাব নেতৃবৃন্দ উল্লেখ করেন দীর্ঘদিন লকডাউনে থাকায় কর্মহীন মানুষ এমানিতেই আর্থিক ও মানষিক ভাবে বিপর্যস্ত, সেখানে বর্ধিত হারে বাস ভাড়া আদায়ের অনুমতি দেয়া হলে এটা হবে সড়কে ডাকাতির শামিল। কারণ বাস মালিক-শ্রমিকরা কোন সময় সরকারের নির্ধারিত হারে ভাড়া আদায় না করে যাত্রীদের জিম্মি করে দ্বিগুণ-তিনগুণ ভাড়া আদায় করে থাকেন। সেখানে আইন শৃংখলা বাহিনী তাদের বিরুদ্ধে কোন কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে সক্ষম হচ্ছে না।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরও বলেন গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায় রাজধানীতে প্রতিটি সড়ক রুটে চলাচলকারী বাস-মিনিবাস দৈনিক গড়ে ১২০০ টাকা থেকে ২০০০ টাকা পর্যন্ত চাঁদা দিয়ে থাকেন। করোনা মহামারিকালে এই চাঁদা বন্ধ করা গেলে ও প্রয়োজনে সাশ্রয়ী মূল্যে জ্বালানী সরবরাহ করা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতিটি গণপরিবহন অর্ধেক যাত্রী পরিবহন করতে পারেন।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, যে কোন সংকট ও অজুহাতে গণপরিবহনগুলি বর্ধিত ভাড়া আদায় করলেও স্বাভাবিক সময়ে ভাড়া কমানোর কোন নজির নেই। দেশের ইতিহাসে র্দীঘ ছুটিতে থাকায় কর্মহীন মানুষ ভয়াবহ আর্থিক সংকটে আছে, তাই অর্থেক যাত্রী নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে গণপরিবহনগুলো বিদ্যমান ভাড়া আদায় করে পরিবহন সেবা চালু করে মালিক-শ্রমিকদের আয় ও কর্মসংস্থান পূনরায় শুরু করতে পারেন।