জার্মান রাষ্ট্রদূতের শুভেচ্ছা
নিজস্ব প্রতিবেদক: মহামারি করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত বৈশ্বিক অর্থনীতি। আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম ব্যাপকভাবে ব্যাহত। এমন পরিস্থিতির মধ্যে এলো স্বস্তির সুবাতাস। ইউরোপের বিভিন্ন দেশে টেলিভিশন রপ্তানি কার্যক্রম জোরদার করেছে দেশের শীর্ষ ব্র্যান্ড ওয়ালটন। জার্মানিতে বাড়লো ওয়ালটন টিভি রপ্তানির পরিমাণ। ২০২১ সালের মধ্যে ইউরোপে ১ লাখ ইউনিট টেলিভিশন রপ্তানির পরিকল্পনা নিয়েছে ওয়ালটন।
উল্লেখ্য, ওয়ালটন গত বছর জার্মানিতে টিভি রপ্তানি শুরু করে। ওয়ালটন কারখানায় উৎপাদন ও মান নিয়ন্ত্রনে ব্যবহৃত হয় জার্মান মেশিনারিজ, যা নিশ্চিত করে সর্বোচ্চ গুণগত মান। আর তাই ওয়ালটন পণ্যের প্রতি ইউরোপীয় ক্রেতাদের আস্থা দিন দিন বাড়ছে।
জানা গেছে, ইউরোপিয়ান ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট ইন্টারসেলস এ/এস ওয়ালটনের কাছ থেকে বিভিন্ন মডেলের স্মার্ট টেলিভিশন নিচ্ছে। বাংলাদেশে ওয়ালটন কারখানায় তৈরি এই টিভিগুলো জার্মানিসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বিক্রি হবে।
এদিকে জার্মানিতে বিপুল পরিমাণ টিভি রপ্তানিতে ওয়ালটনকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত পিটার ফারেনহল্টস। এক ই-মেইল বার্তায় ওয়ালটনকে শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি করোনা দুর্যোগ কেটে গেলে ওয়ালটনের অত্যাধুনিক কারখানা পরিদর্শনের ইচ্ছা পোষণ করেছেন তিনি।
ওয়ালটনের জার্মান মার্কেট বিষয়ক প্রধান তাওসীফ আল মাহমুদ বলেন, জার্মানিসহ বিশ্ববাজার টার্গেট করে চলতি বছর বেশ কিছু নতুন মডেলের টেলিভিশন তৈরি করছে ওয়ালটন। আগামি সপ্তাহ থেকেই এই টিভিগুলো জার্মানি এবং ইউরোপের অন্যান্য দেশে রপ্তানি শুরু হচ্ছে। পাশ্চাত্যের দেশগুলোর জন্য স্মার্ট টিভি তৈরিতে ইতোমধ্যে গুগলের সঙ্গে ব্যবসায়িক চুক্তি করেছে ওয়ালটন। এ বছরের শেষভাগে ইউরোপিয়ান স্ট্যান্ডার্ডের রেফ্রিজারেটর, এয়ার কন্ডিশনার এবং কিচেন অ্যাপ্লায়েন্স প্রোডাক্ট নিয়ে আসছে ওয়ালটন।
ওয়ালটন টেলিভিশন বিভাগের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোস্তফা নাহিদ হোসেন বলেন, আন্তর্জাতিক মান ও স্ট্যান্ডার্ড অনুসরণ করে উৎপাদিত ওয়ালটন টেলিভিশন বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী। সুইজ্যারল্যান্ডভিত্তিক এসজিএস (SGS) এর আন্তর্জাতিক টেস্ট ল্যাবে ওয়ালটনের টেলিভিশন সিই (CE), আরওএইচএস (ROHS), ইএমসি (EMC) সনদ অর্জন করেছে। ইউরোপের বাজারে টিভি রপ্তানিতে এসব সনদ অত্যাবশকীয়।
ওয়ালটনের ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ইউনিটের প্রেসিডেন্ট এডওয়ার্ড কিম বলেন, কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে বৈশ্বিক টেলিভিশনের চাহিদা ৯.৭ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। তারপরও আমরা ইউরোপ থেকে ব্যাপক রপ্তানি আদেশ পাচ্ছি। কারণ ইউরোপীয় ক্রেতারা উচ্চমানের পণ্য উৎপাদনের কেন্দ্র হিসেবে বাংলাদেশের ওপর আস্থা রাখছেন। আমাদের বিশ্বাস ইউরোপের বাজারে আমরা শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছাতে পারবো। এ অঞ্চলে দিন দিন আমাদের রপ্তানির পরিমাণ বাড়বে।
সংশ্লিষ্টদের মতে, করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যে যখন সারা বিশ্বের অর্থনীতি স্থবির হয়ে পড়েছে, তখন ইউরোপের বাজারে ইলেকট্রনিক্স পণ্য রপ্তানি অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক। ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তিপণ্য খাত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্যের অন্যতম প্রধান উৎস। সেদিন আর বেশি দূরে নেই, যেদিন বাংলাদেশে তৈরি ইলেকট্রনিক্স পণ্য সারা বিশ্ব ব্যবহার করবে।