বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ সেক্টর কমান্ডার, লে. কর্ণেল (অব:) আবু ওসমান চৌধুরীর ইন্তেকালে বিসিএস মুক্তিযোদ্ধা ও মুজিবনগর কর্মকর্তা ও কর্মচারী কল্যাণ সমিতি গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছে । জাতীয় বীর লে. কর্ণেল ওসমান চৌধুরী ছিলেন সমিতির অন্যতম উপদেষ্টা।
সমিতির মহাসচিব মোহাম্মদ মুসা এক শোকবাণীতে বলেন, “বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ বীর যাঁদের বীরত্বে ও বিক্রমে ’৭১-এর ১১টি সেক্টর প্রকম্পিত হয়ে উঠেছিল, কর্ণেল ওসমান চৌধুরী ছিলেন তাঁদের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বীর। তিনি সমগ্র জাতির প্রাতঃস্মরণীয় বীর। তাঁর বীরত্বের স্মৃতি চির স্মরণীয় করে রাখার জন্য রাজধানী ঢাকায় তাঁর নামে একটি বীর তোরণ নির্মাণের জন্য মুক্তিযুদ্ধের সরকারের কাছে বাংলাদেশের সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে আহবান জানাই।”
শোক বাণীতে জনাব মুসা আরো বলেন, “১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল বাংলাদেশ সরকার তাঁকে দক্ষিণ-পশ্চিমাংশের আঞ্চলিক কমান্ডার হিসেবে নিযুক্ত করেন। মে মাসের শেষার্ধে প্রধান সেনাপতি এম এ জি ওসমানী দক্ষিণ-পশ্চিম রণাঙ্গনকে দুই ভাগ করে ৮নং ও ৯নং সেক্টর গঠন করেন এবং ৮নং সেক্টরের দায়িত্বে আবু ওসমানকে নিয়োগ করা হয়। প্রাথমিকভাবে সে সময়ে ওই সেক্টরের অপারেশন এলাকা ছিল কুষ্টিয়া, যশোর, খুলনা, বরিশাল, ফরিদপুর ও পটুয়াখালী জেলা। মে মাসের শেষে অপারেশন এলাকা সংকুচিত করে কুষ্টিয়া ও যশোর, খুলনা জেলা সদর, সাতক্ষীরা মহকুমা এবং ফরিদপুরের উত্তরাংশ নিয়ে এই এলাকা পুন:গঠন করা হয়। এই সেক্টরের প্রধান ছিলেন আবু ওসমান চৌধুরী। ’৭১ সালে বাঙালি জাতিকে মুক্ত স্বাধীন করার জন্য তাঁর ঐতিহাসিক অবদানের জন্য বাঙালি জাতির কাছে তিনি স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।”
মুসা আরো বলেন, বীর বাঙালি জাতির পক্ষ থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধারা এই জাতীয় বীরের উদ্দেশে সামরিক কায়দায় স্যেলুট জানায়। একটি পরাধীন জাতিকে মুক্ত স্বাধীন করার জন্য যে বীর বিক্রমে ১৯৭১ সালে তিনি লড়াই করেছেন ও রণাঙ্গনে নেতৃত্ব দিয়েছেন সেজন্য মহান আল্লাহ তাঁকে বেহেশত ফেরদৌস নসীব করুন।
মুসা বলেন, আমরা তাঁর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করি ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সহানুভূতি ব্যক্ত করি।
উল্লেখ্য, মুক্তিযুদ্ধে ৮ নম্বর সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার ও চাঁদপুর জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক লে. কর্নেল (অব.) আবু ওসমান চৌধুরী (৮৫) শনিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টায় তিনি সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল-সিএমএইচে মৃত্যুবরণ করেন ।