বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ রিটেইলার, ডিসট্রিবিউটর ও গ্রাহকদের জন্য উদ্ভাবনী ডিজিটাল ডিসট্রিবিউশন নেটওয়ার্ক মডেল চালু করেছে রবি। এই ডিজিটাল সল্যুশনের মাধ্যমে কোম্পানির গুরুত্বপূর্ণ স্টেকহোল্ডারদের একটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের আওতায় আনা হয়েছে যার মাধ্যমে তারা রবির সাথে ডিজিটাল উপায়ে কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবেন।
এর ফলে দেশব্যাপী রবি ও এয়ারটেল’র প্রায় সাত লাখ রিটেইলার একটি অ্যাপের মাধ্যমে লোড ব্যালেন্স কিনতে পারবেন। রবি’র বিপণন কর্মীদের সাথে কোন কারণে যোগাযোগ সম্ভব না হলেও অ্যাপটির মাধ্যমে তারা তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম অব্যবহত রাখতে পারবেন। প্রক্রিয়াটি ডিজিটাল হওয়ায় গ্রাহকদের আরো ভাল সেবা দিতে পারবেন রিটেইলাররা।
ডিসট্রিবিউটররাও সল্যুশনটির ফিচার থেকে একই সুবিধা পাবেন। এছাড়া ডিসট্রিবিউটর ও রিটেইলাররা জরুরী ভিত্তিতে ব্যাংক থেকে আর্থিক সহায়তা নিতে পারবেন। উদ্যোগটির সহযোগী হিসেবে রয়েছে অন্যতম মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস প্রোভাইডার নগদ; তারা প্রক্রিয়াটিতে পেমেন্ট গেটওয়ে সম্পর্কিত সহায়তা প্রদান করবে। কিছুদিনের মধ্যে বিকাশও এতে যুক্ত হবে। রিটেইলারদের আর্থিক নিশ্চয়তা প্রদান করতে শিগগিরই রবির সাথে চুক্তিবদ্ধ হতে যাচ্ছে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক। ডিসট্রিবিউটরদের আর্থিক নিশ্চয়তা প্রদানের জন্য ইতোমধ্যে রবির সহযোগী হিসেবে কাজ করছে সিটি ব্যাংক ও আইপিডিসি।
সল্যুশনটির মাধ্যমে গ্রাহকরা ডিজিটাল উপায়ে সিম কেনাসহ অন্যান্য সেবা গ্রহণ করতে পারবেন। গত রবিবার (১১ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত একটি ওয়েবইনারে এসব তথ্য তুলে ধরেন রবি’র চিফ কমার্শিয়াল অফিসার শিহাব আহমেদ।
রবি ডিজিটাল ডিসট্রিবিউশন নেটওয়ার্ক চালুর ফলে অপারেটরটির রিটেইলারদের জীবন অনেক সহজ হয়ে গেছে বলে অনুষ্ঠানে মন্তব্য করেন নগদ’র ম্যানেজিং ডিরেক্টর তানভীর এ. মিশুক। এছাড়া নগদ’র ব্যবসা আরো প্রসারিত করার লক্ষ্যে ব্যাংকগুলোকে বিশেষ ঋণ সুবিধা নিয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক’র ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, “আমরা বুঝতে পারি গ্রাহকদের পরিবর্তিত চাহিদার কথাটি মাথায় রেখে প্রথাগত ব্যাংকিং ব্যবস্থাটি শিগগিরই পরিবর্তন করতে হবে। ফিনটেককে প্রতিদ্বন্দ্বী না ভেবে তাদের সাথে পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করতে হবে। রবির ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্ক ডিজিটাল করায় আমরা ব্যাকিং সুবিধার বাইরে থাকা এক বিশাল জনগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছানোর সুযোগ পেয়েছি।”
রবি’র ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও মাহতাব উদ্দিন আহমেদ বলেন, “ডিজিটাল উদ্ভাবনের মাধ্যমে দেশের মানুষের জীবনে নতুন নতুন অভিজ্ঞতা দেয়ার লক্ষ্যে কাজ করছে রবি। রবি’র ডিজিটাল ডিসট্রিবিউশন নেটওয়ার্ক এমন একটি অনন্য সল্যুশন যা দেশের ডিসট্রিবিউশন নেটওয়ার্কের আদলই পুরোপুরি বদলে দেবে। এটা মাত্র শুরু; এরপর আমাদের ডিজিটাল ডিসট্রিবিউশন মডেলকে আরো কার্যকর করতে এর সাথে যোগ করা হবে- ডাটা এনালিটিকস, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ও অল্টারনেটিভ ক্রেডিটি রেটিং সল্যুশনস।”
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, “বাজারে উদ্ভাবনী সল্যুশন আনার ক্ষেত্রে সবসময় অগ্রণী ভূমিকা পালন করায় রবিকে আমি ধন্যবাদ জানাই। সেটা ফাইভজির পরীক্ষাই হোক বা ভোল্টি সেবা চালু- সবক্ষেত্রে রবিই প্রথম এগিয়ে আসে। আমি খুবই আনন্দিত যে ডিজিটাল ডিসট্রিবিউশন সল্যুশন চালুর ক্ষেত্রে তারা এই ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্পের বাস্তবায়নে আমাদের এই মুহুর্তে দরকার দ্রুত ডিজিটাল সংযোগের বিস্তার এবং ক্যশলেস সোসাইটির দিকে এগিয়ে যাওয়া। করোনা মাহামারী চলাকালে আমাদের অসাধারণ সাফল্য আমাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের প্রেরণা হয়ে থাকবে।”
ওয়েবিনারটি পরিচালনা করেন রবি’র চিফ কর্পোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম। সমাপনী বক্তব্যে এই উদ্যোগের মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশের ছোঁয়া তৃণমূলমূল পর্যায়ে পৌঁছে গেল বলে মন্তব্য করেন তিনি।