নিজস্ব প্রতিবেদক: একজন আদর্শ মানুষই শিশু সুরক্ষায় ভূমিকা রাখতে পারে, আর এই আদর্শ মানুষ তৈরি করাই ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর মূল উদ্দেশ্য, যা ছিল জাতির জনক বঙ্গবন্ধু’র স্বপ্ন- ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ এর কার্যক্রমসমূহ মানব কল্যাণমূলক এবং দেশের উন্নয়নে সহায়ক।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন এবং ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ এর মধ্যকার “শিশু সুরক্ষা নিশ্চিতকরণে পারস্পরিক সহযোগিতা ও যৌথ কর্মসূচি গ্রহনে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় কথাগুলো বলেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব আনিস মাহমুদ।
স্বাগত বক্তব্যে ওয়ার্ল্ড ভিশন এর পরিচালক, ইন্টিগ্রেটেড থিমেটিক সলিউশন বুলি হাগিদক ইসলামিক ফাউন্ডেশন এবং প্রশিক্ষিত ইমানগণের নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে আন্তরিকতা এবং সমাজ পরিবর্তনে তাদের ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা বক্তব্যে আইসিটি পরিচালক মোহাম্মদ রফিক উল ইসলাম, বলেন অতীতে ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের সাথে কিছু কাজ হয়েছে। ওয়ার্ল্ড ভিশনের সার্বিক কার্যক্রম জনকল্যাণকর। ভবিষ্যতে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে আরো কিছু কিছু ক্ষেত্রে শিশু সুরক্ষায় কাজ করা যেতে পারে।
ইমাম প্রশিক্ষণ পরিচালক আনিছুজ্জামান বলেন, ওয়ার্ল্ড ভিশন’কে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের চলমান কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ত করে একসঙ্গে কাজ করা যেতে পারে।
ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমির উপপরিচালক মোঃ জাকির হোসেন বলেন, ওয়ার্ল্ড ভিশনের কার্যক্রম দেখে ও শুনে আমরা উজ্জীবিত হয়েছি।
সারা বাংলাদেশের ৩ লক্ষ প্রশিক্ষিত ইমাম মাসে কমপক্ষে একবার জুমার নামাজের খুৎবায় নারী ও শিশু নির্যাতন বিষয়ক বক্তব্য প্রদান করে মানুষকে সচেতন করতে পারে। ফকরুল ইসলাম মিডিয়াতে যৌথভাবে কাজ করা পক্ষে মত দেন। আবু সালেহ পাটোয়ারী ইমামদের পাশাপাশি খতিবদের একাজে সম্পৃক্ত করার পক্ষে মত দেন।
এছাড়া ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর উপস্থিত সকল কর্মকর্তাই ওয়ার্ল্ড ভিশন এর সাথে একসঙ্গে কাজ করার ক্ষেত্রে মত দেন।
ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ এর আরবান কর্মসূচির উপপরিচালক মঞ্জু মারিয়া ফালমা বলেন, ঢাকা সিটি কর্পোরেশন এলাকার প্রায় সকল ইমাম ও খতিবদের ক্রমান্বয়ে আমরা আমাদের কর্মসূচির সাথে সম্পৃক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে।
সভাপতির বক্তৃতায় চন্দন জেড. গোমেজ বলেন, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ শিশু ও নারীদের সুরক্ষা বিষয়ক কার্যক্রমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সক্রিয় অংশগ্রহন এবং আন্তরিকতায় খুবই খুশী। সকল ধর্মেই মানব কল্যাণের কথা জোর দিয়ে বলা হয়েছে এবং ওয়ার্ল্ড ভিশন সেই কাজটিই সঠিকভাবে করা চেষ্টা করছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর সাথে যৌথভাবে ও
অংশীদারিত্বের মাধ্যমে একাজকে আরো গতিশীলতা প্রদান করবে।
অনুষ্ঠানে ওয়ার্ল্ড ভিশন এর পক্ষ থেকে পারস্পরিক সহযোগিতা ও যৌথ কর্মসূচি গ্রহনে ৬টি প্রস্তাবনা প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে মূল বিষয় উপস্থাপন করেন ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ এর এ্যাডভোকেসি এবং ক্যাম্পিইন কোর্ডিনেটর মীর রেজাউল করিম।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মস্জিদ ভিত্তিক গণশিক্ষা কার্যক্রমের উপপরিচালক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান। অনুষ্টানে আরো উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ এর কর্মকর্তা জোয়ান্ন ডি রোজারিও, মৃদুল তজু, রোনেট লিও গোমেজ এবং শৈবাল রেমা।