বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ রাজধানীর মেরুল বাড্ডায় গাড়ি ও স্বর্ণের ব্যবসায়ী মনিরুল ইসলাম ওরফে গোল্ডেন মনির দেড় হাজার কোটি টাকার মালিক বলে জানিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ান (র্যাব)।
নব্বইয়ের দশকে গাউছিয়া মার্কেটে কাপড়ের দোকানে সেলসম্যানের কাজ শুরু করেন মনিরুল ইসলাম। ওই কাজ ছেড়ে দিয়ে শুরু করেন লাগেজের ব্যবসা। শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আয় করেন লাখ লাখ টাকা। এরপর সিঙ্গাপুর, ভারত থেকে নিয়ে আসেন স্বর্ণ। এতে তার নাম হয় গোল্ডেন মনির।
বাড্ডায় রাতভর অভিযান শেষে শনিবার (২১ নভেম্বর) সকালে সেখানে থেকে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান র্যাব সদর দপ্তরের আইন ও গণমাধ্যম শাখার প্রধান লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘অবৈধভাবে বিদেশি মুদ্রা, অস্ত্র ও মাদক রাখার দায়ে বাড্ডা থানায় গোল্ডেন মনিরের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করা হবে। তিনি ২০০টি প্লটের মালিক। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ৩০টি প্লটের কথা স্বীকার করেছেন। তার বাসা থেকে ৬০০ ভরি স্বর্ণ জব্দ করা হয়েছে। দুটি বিলাসবহুল অনুমোদনবিহীন গাড়ি জব্দ করা হয়েছে। প্রতিটির মূল্য ৩ কোটি টাকা। আরও ৩টি গাড়ি জব্দ করা হয়েছে।’
র্যাব কর্মকর্তা বলেন, ‘কাপড়ের দোকানের বিক্রয়কর্মী থেকে ভূমিদস্যু ও স্বর্ণ চোরাচালানকারী হয়ে ওঠে গোলেন্ড মনির। তিনি রাজউক কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসাজস করে ভুয়া কাগজপত্র করে জমির মালিক হন। তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের জন্য র্যাব থেকে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) অনুরোধ করা হবে।’
একটি গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) রাত থেকে গোল্ডেন মনিরের বাসায় অভিযান শুরু করে র্যাব। সেখান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।