দুই উপজেলার বন্ধন যে ‘বাঁশের সাঁকো’

আরিফুল ইসলাম, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের বাসাইল আর সখীপুর উপজেলাকে পৃথক করেছে বংশাই নদী। এ নদীর উপর নির্মিত বাঁশের সাঁকোটি দুই উপজেলার বন্ধন গড়েছে।  বাঁশের সাঁকোর পশ্চিম প্রান্ত বাসাইল উপজেলার রাশড়া আর পূর্ব প্রান্ত চাকদহ গ্রাম। শুষ্ক মৌসুমে কয়েক যুগ ধরেই বংশাই নদীর উপর নির্মিত এ বাঁশের সাঁকো দিয়েই কয়েকটি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের যাতায়াত। স্বাধীনতার ৪৯ বছর পরেও নির্মাণ হয়নি কোনো সেতু। এ নদীতে সেতু নির্মান না হওয়ায় এখনো সাধারণ মানুষকে বাঁশের সাঁকোতে ভোগান্তি নিয়ে  পারাপার হতে হয়।
জানা যায়, চাকদহ,রতনপুর,রাশড়া,জিকাতলীপাড়া,সৈয়দামপুর কাঞ্চনপুরসহ ১০-১৫ গ্রামের মানুষের  যাতায়াতের সহজ মাধ্যম এ সাঁকো। এছাড়াও আশেপাশের কয়েকটি গ্রামের সাধারন কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ফসল চাকদহ হাটে বিক্রি করতেন আগে। কিন্তু নদীতে সেতুর অভাবে যোগাযোগ ব্যবস্থা খারাপ থাকায় এখন হাটে ধান বিক্রি বন্ধ হয়ে গেছে। এছাড়া সেতু না থাকায় বড় ধরনের পরিবহন চলতে পারেনা। ফলে মালামাল আনা নেওয়া কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে।
চাকদহ হাটের ইজারাদার সোরহাব হোসেন বলেন,কয়েক হাজার মানুষের যাতায়াতের মাধ্যম এই বাঁশের সাঁকো। এই বাঁশের সাঁকো দিয়ে ১০-১৫টি গ্রামের মানুষের যাতায়াত করে থাকে। যোগাযোগ ব্যবস্থা খারাপ থাকার কারণে ছেলে ও মেয়েদের বিয়ের ভালো সমন্ধ ভেঙ্গে আসে না।এছাড়াও চাকদহ হাট হারিয়ে ফেলেছে তার আগের ঐতিহ্য শুধু যোগাযোগ ও সেতু না থাকার কারণে।তাই এখানে সাঁকোর বদলে সেতু হলে দুই উপজেলার মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন হবে।
বাসাইল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী অলিদ ইসলাম বলেন, বংশাই নদীর রাশড়া-চাকদহ ব্রিজ প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে।কয়েকটি ব্রিজের প্রকল্প চলমান রয়েছে।তাদের মধ্যে বংশাই নদীর রাশড়া-চাকদহ ব্রিজ রয়েছে।(বাসাইল-সখীপুর) আসনের সংসদ সদস্য চিঠি দিয়েছেন ব্রিজের জন্য।
Print Friendly, PDF & Email

Related Posts