টাঙ্গাইল প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার রাশড়া-সৈয়দামপুর গ্রামে বংশাই নদীর পূর্ব-উত্তর তীরে অনুষ্ঠিত হয়েছে ডুবের মেলা। মাঘীপূর্ণিমায় এই মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।যা মানুষের মুখে মুখে ডুবের মেলা নামে পরিচিত।গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী এই মেলা যুগ যুগ ধরে পালিত হচ্ছে।
শনিবার(২৭ ফেব্রুয়ারি)দিনব্যাপী এই মেলা উপলক্ষে নদীর তীরে দেবতা (মাদব ঠাকুর)এর মূর্তি অধিষ্ঠিত করা হয়।হিন্দু সম্প্রদায় তাদের পাপ মোচন উপলক্ষে ভোরে মানত ও গঙ্গাস্নান পর্ব সমাপণ করে।পূজা ও স্নান উপলক্ষে ঐতিহ্যবাহী মেলা অনুষ্ঠিত হয়।এই মেলায় গ্রামীণ ঐতিহ্যের বাঁশবেত, কাঠ- মাটির তৈজস ও আসবাবপত্র পাওয়া যায়।এছাড়া বিভিন্ন প্রকার খাবার এবং ছোটদের আকর্ষণীয় খেলনা ও ব্যবহার্য্য জিনিসপত্র পাওয়া যায়।মেলা উপলক্ষে জেলার দূর দূরত্ব থেকে আগত জনগনের পূজা ও স্নান পর্বে অংশ গ্রহণ এবং কেনাকাটার দৃশ্য লখণীয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এই মেলা ব্রিটিশ শাসনামলে (বক্ত সাধু) নামে খ্যাত এই সন্যাসী (মাদব ঠাকুর) এর মূর্তি প্রতিস্থাপন করে পূজাঅর্চনা শুরু করেন, এই পূজা উপলক্ষে তখন থেকে গঙ্গাস্নান ও মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।তখন থেকে ইহা (ডুবের মেলা) নামে পরিচিত।
ডুবের মেলা কমিটির সদস্য নিপেন্দ্র সরকার বলেন,মাঘীপূর্ণিমার সময় এই মেলা অনুষ্ঠিত হয়।এই মেলা উপলক্ষে দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ আসে।সকাল থেকে চলে স্নান উৎসব।একদিন ব্যাপী এই মেলা অনুষ্ঠিত হয়।যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না থাকায় জমির আইল ধরে পায়ে হেঁটে এই মেলায় আসতে হয় দশনার্থীদের।