বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ ইন্ডিয়া টাইমসে দেয়া সাক্ষাৎকারে বিদ্যা বলেন, ‘আমি যে পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে গিয়েছি, তা আমার জন্য দরকার ছিল। আমি নন-ফিল্ম পরিবারের মেয়ে। আমাকে কেউ বলার ছিল না যে এসব একদিন শেষ হবে। আমার আমার ওজন সমস্যা তখন জাতীয় সমস্যায় পরিণত হয়েছিল। আমি সবসময়েই মোটা ছিলাম, আমি বলছি না যে ওজন বেশি থাকার বিষয়টি নিয়ে আমি চিন্তা করি না। তবে অনেক পথ পাড়ি দিয়ে ফেলেছি। আমার হরমোনের সমস্যা আছে বহু বছর ধরেই। বহু বছর আমি নিজের শরীরকে ঘৃণা করতাম। আমি ভাবতাম আমার শরীর আমার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করছে। নিজেকে ভালো দেখানোর চাপে থাকতাম, রেগে যেতাম, হতাশ হতাম।’
এক সাক্ষাৎকারে বিদ্যা বালান এ কথা বলেছেন ‘বডি শেমিং’ প্রসঙ্গে।
‘ডার্টি পিকচার’, ‘শকুন্তলা দেবী’, ‘তুমহারি সুলু’ সহ একাধিক জনপ্রিয় সিনেমায় অভিনয় করেছেন বিদ্যা বালান। কিছু চরিত্র যেন বিদ্যাকে ছাড়া ভাবাই যায়না। বলিউডের অন্য নায়িকাদের মতো জিরো ফিগারের পেছনে তিনি ছোটেননি। অতিরিক্ত ওজনের জন্য নানা বিদ্রূপের সম্মুখীন হতে হয়েছে অভিনেত্রীকে।
অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘সময়ের সাথে সাথে নিজের মেনে নিতে শিখেছি যে শরীরটাই আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছে। কারণ যেদিন এই শরীর কাজ করা বন্ধ করে দিবে, আমি আর থাকবো না। নিজের শরীরের প্রতি তাই কৃতজ্ঞ। শরীর যেমনই হোক, কিছু যায় আসে না। কারণ শরীরের জন্যই বেঁচে আছি। রক্ত আর হাড় বাঁচিয়ে রেখেছে। নিজেকে ভালবাসতে শুরু করেছি। তবে বিষয়টা এত সহজ নয়।’
বিদ্যা বলেন, ‘চুলের দৈর্ঘ্য, হাতের মেদ, শরীরের বাঁক, উচ্চতা কোনো বিষয় নয়; আসল বিষয় হলো আপনি মানুষ হিসেবে কেমন। নিজেকে যদি মানুষ হিসেবে ভালো মনে হয়, তাহলে সব খুঁতই ছোট মনে হয়।
বিদ্যা বালান মনে করেন মানুষ কী ভাবলো সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়, নিজেকে নিয়ে কী ভাবছেন সেটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।