বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ নিউজিল্যান্ডের মাটিতে প্রথম জয়ের প্রতীক্ষায় থাকা বাংলাদেশ ভালো সুযোগ তৈরি করেছিল ক্রাইস্টচার্চে। ব্যাটসম্যানরা এনে দিয়েছিলেন লড়াকু পুঁজি, বোলাররা দুর্দান্ত শুরু। কিন্তু ক্যাচ মিসের মহড়ায় সব আশা ভেস্তে গেছে। আরেকটি হারের হতাশা নিয়ে তামিম ইকবালের দলকে ছাড়তে হয়েছে মাঠ।
হ্যাগলি ওভালে দিবা-রাত্রির দ্বিতীয় ওয়ানডেতে স্বাগতিকদের কাছে বাংলাদেশ হেরেছে ৫ উইকেটে। ২৭২ রানের লক্ষ্য কিউইরা টপকে যায় ১০ বল ও ৫ উইকেট হাতে রেখে।
সঙ্গে সিরিজ হারও নিশ্চিত হয়ে গেছে সফরকারীদের, ২-০তে জিতল স্বাগতিকরা। শুক্রবার ওয়েলিংটনে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে হোয়াইটওয়াশ এড়াতে লড়বেন তামিম-মুশফিকরা।
৫৮ রানে জীবন পাওয়া টম ল্যাথাম ১১০ রানে অপরাজিত থেকে ম্যাচ শেষ করেছেন। কিউই অধিনায়ক ১০৮ বলের ইনিংসে ছিল ১০টি চারের মার।
৩ রানে জীবন পাওয়া জিমি নিশাম ৩০ রান করে আউট হন। ড্যারেল মিশেল ৬ বলে ১২ রানে অপরাজিত থাকেন।
৫৩ রানে তিন সাফল্যে নতুন বলের কাজটা দারুণ করেছিলেন মোস্তাফিজ ও মেহেদী। কিন্তু বল একটু পুরনো হতেই প্রতিরোধ গড়ে জুটি জমিয়ে ফেলেন ডেভন কনওয়ে ও টম ল্যাথাম। শতরান পেরোনো সেই জুটি ভাঙেন তামিম ইকবাল।
সরাসরি থ্রো’য়ে কনওয়েকে রানআউট করে কিউইদের ১১৩ রানের চতুর্থ উইকেট জুটি ভাঙেন তামিম। ৯৩ বলে ৭২ রান করেন কনওয়ে। পরের ওভারেই তাসকিন আহমেদের বলে নতুন ব্যাটসম্যান নিশামের সহজ ক্যাচ ছাড়েন উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিম।
পরের ওভারে কিউই অধিনায়ক ল্যাথামকে কট অ্যান্ড বোল্ড করার সুযোগ পেয়েছিলেন মেহেদী। পরপর দুই ওভারে দুই সহজ ক্যাচ মিস করে ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে বাংলাদেশ। ছোট ছোট আরও কিছু সুযোগও মিস করে বাংলাদেশ। বাজে ফিল্ডিংয়ের কারণে হারের দৃষ্টান্ত হয়ে থাকল ম্যাচটি।
যে জুটি ভেঙে যেতে পারত ৫ রানে, সেটিই দীর্ঘ হয় ৭৬ পর্যন্ত। নিউজিল্যান্ডের দলীয় ২৪২ রানের মাথায় নিশামকে ফিরিয়ে পঞ্চম উইকেট জুটি ভাঙেন মোস্তাফিজ। ততক্ষণে অবশ্য জয়ের খুব কাছে চলে যায় নিউজিল্যান্ড।
শুরুতেই মারমুখী হয়ে ওঠা মার্টিন গাপটিলকে কাটারে ক্যাচ দিতে বাধ্য করে নিজেই তালুবন্দী করে প্রথম সাফল্য আনেন মোস্তাফিজুর রহমান। ৩ চার এক ছয়ে ২৪ বলে ২০ করে ফেরেন কিউই ওপেনার।
আরেক ওপেনার হেনরি নিকোলসকে (১৩) বোল্ড করেন মেহেদী হাসান। তরুণ অফস্পিনার চারে নামা উইল ইয়ংকেও (১) সাজঘরের পথ দেখিয়েছেন বোল্ড করে।
ডানেডিনে চরম ব্যাটিং ব্যর্থতার পর ক্রাইস্টচার্চে এসে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। ৭৮ রানের ইনিংস খেলে ভিত গড়ে দেন অধিনায়ক তামিম। মোহাম্মদ মিঠুনের (৭৩*) দুর্দান্ত ফিনিশিংয়ে ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে টাইগাররা তোলে ২৭১ রান।
ওয়ানডে সিরিজ হারলেও বাংলাদেশের আইসিসি সুপার লিগের ১০ পয়েন্ট জয়ের সুযোগ থাকছে ২৬ মার্চ শেষ ম্যাচে। ওয়েলিংটনে অন্তত ক্রাইস্টচার্চের ভুল দেখতে চান না তামিম। সেটি পরিষ্কার বলেও দিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক, ‘পরেরবার যখন সুযোগ আসবে, তখন দুহাত বাড়িয়ে সেই সুযোগ নিয়ে নিতে হবে। ওয়েলিংটনে আমাদের ইতিবাচক থাকতে হবে এবং তাদের আবার চেপে ধরতে হবে।’