মো. রাসেল হোসেন, ধামরাই: ঢাকার ধামরাই কৃষি নির্ভর এলাকা। অবৈধ ইটভাটার ভয়াল থাবায় হারিয়ে যাচ্ছে কৃষি নির্ভরতা। ইটভাটার নির্গত ধূয়ায় বিলিন হচ্ছে কৃষি ফসল। আম গাছে আম কুকরিয়ে যাচ্ছে, ডাব গাছের ডাবে পানি নেই।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ইটভাটার কাঁচামাল মাটি উত্তোলনে মাটি খেখুরা ফসলি জমি দখল করে মাটি কেঁটে নিয়ে ইটভাটায় দিচ্ছে। ফসলি জমিতে খানাখন্দে ভরে গেছে। এতে করে চাষাবাদ অযোগ্য করে তুলেছে ইটভাটার মালিক ও মাটি ব্যবসায়ীরা।
এমন দৃশ্য দেখা গেছে ধামরাই উপজেলার কালামপুর, ঘোড়াকান্দা, চাওনা এলাকায় ওই এলাকায় প্রায় ৭০-৮০টি ইটভাটা রয়েছে। এরমধ্যে দুই একটি ব্যতিত আর সকল ইটভাটারই কোন বৈধ কাগজপত্র নেই। এরমধ্যে রয়েছে ঘোড়াকান্দা এলাকায় মোজাহিদুল ইসলামের মালিকানাধীন এম বি এল ব্রিকস, নান্নার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলতাব হোসেনের মালিকানাধীন মোল্লা ব্রিকস, চাওনা এলাকায় নিজাম উদ্দিনের মালিকানাধীন এমএসএন ব্রিকসসহ প্রায় সকল ইটভাটারই একই অবস্থা।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক ফসলি জমির মালিক বলেন, আমাদের আশপাশের জমির মাটি খেখুরা ক্রয়করে মাটি নিয়ে গেছে। এতে করে আমাদের জমির মাটি ভেঙে পড়ছে বাঁধা দিতে গেলে হামলা করে মারধর করে কাউকে কিছু বলতেও পারি না।এলাকার প্রভাবশালীরা মাটি ও ইটভাটার বিজনেসের সাথে জড়িত থাকায় আমরা অসহায়।
এরমধ্যে মাঝে মধ্যে উপজেলা থেকে লোক আসে কি যেন কি বলে চলে যায় আর কোন ব্যবস্থা হয় না। প্রভাবশালীরা বলেন, আমরা সব কিছু ম্যানেজ করে চলি আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়ে কোন লাভ হবে না।
তবে উপজেলা প্রশাসন বলছে ভিন্ন কথা।
ধামরাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আরিফুল হাসান বলেন, আমরা উপজেলা কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে প্রতিনিয়ত কৃষকদের বুঝাচ্ছি যাতে তারা কৃষি জমির মাটি না বিক্রি করে। আর যারা কৃষি জমির কাটি কাটছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি। আর আমরা দুই তিন ফসলি জমি ইট ভাটা যাতে না করতে পারে সে জন্য তাদের কোন ছাড়পত্র দিচ্ছি না।
এ ব্যাপারে ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সামিউল হক বলেন,আমরা প্রতিনিয়ত অবৈধ ইট ভাটার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করছি এবং অবৈধ ইট ভাটার বিরুদ্ধে অভিযান অব্যহত রয়েছে।আর যারা ফরলি জমির মাটি কাটছে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান রয়েছে।ফসলি জমির মাটি ইট ভাটায় যাতে ব্যবহার না করতে পারে সে ব্যবহারে আমার ব্যবস্থা নিচ্ছি।