দুঃসময়ে সংগীতাঙ্গনে খাদ্য উপহার পৌঁছে দিলো গীতিকবি সংঘ

বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ চলমান মহামারির এই ক্রান্তিকালে সংগীতশিল্পীদের পাশে দাঁড়িয়েছে গীতিকবি সংঘ। ২৯ এপ্রিল থেকে ১ মে পর্যন্ত মোট দেড়শ’ জন গীতিকবি, সুরকার, কণ্ঠশিল্পী ও যন্ত্রশিল্পীদের বাসায় পৌঁছে দেওয়া হয় খাদ্য উপহার।

সংঘের এই উদ্যোগে সহায়তা করেছে পারটেক্স গ্রুপের এম এ হাসেম ট্রাস্ট। বুধবার (২৮ এপ্রিল) ট্রাস্টের পক্ষে হেড অব পাবলিক রিলেশন রাশেদ চৌধুরী এই খাদ্য উপহার বুঝিয়ে দেন। সংঘের পক্ষ থেকে এটি বুঝে নেন দুই সাধারণ সম্পাদক আসিফ ইকবাল ও কবির বকুল এবং সাংগঠনিক সম্পাদক জুলফিকার রাসেল।

সংঘের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক আসিফ ইকবাল জানান, শুধু ঢাকায় নয়। সংঘের পক্ষ থেকে বিভিন্ন জেলাতেও কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে অর্ধশতাধিক খাদ্য উপহারের প্যাকেট পাঠানো হয়েছে সংগীতের সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন স্তরের শিল্পীদের কাছে।

গীতিকবি সংঘের সাংগঠনিক সম্পাদক জুলফিকার রাসেল বলেন, ‘আপনারা জানেন গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে সংগীতাঙ্গনের মানুষগুলো সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত। সব শো বন্ধ। ফলে সংগীতের সঙ্গে জড়িত অসংখ্য বন্ধুরা দুঃসময়ে আছেন। মূলত সেই তাগিদ থেকেই পারটেক্স গ্রুপের সহযোগিতা নিয়ে আমরা এই উদ্যোগ নিয়েছি। আমাদের এই ভালোবাসার হাত সামনেও বাড়িয়ে দিতে চাই।’

উক্ত খাদ্য উপহারের প্রতিটি প্যাকেটে ছিল ৪ কেজি চাল (মিনিকেট), ৩ কেজি আলু, তেল আধা লিটার, পেঁয়াজ ২ কেজি, সেমাই ১ প্যাকেট, লবণ ১ কেজি, পোলাও চাল ১ কেজি, চিনি ১ কেজি, ছোলা ১ কেজি, সাবান ১ পিস এবং মসুর ডাল ১ কেজি।

দুঃসময়ে এমন খাদ্য উপহার পেয়ে সংগীতাঙ্গনে ফিরেছে প্রাণের স্পন্দন। এমন উদ্যোগের প্রশংসা করছেন প্রায় সবাই। সুরকার ও কনসার্ট আয়োজক অভিজিৎ চক্রবর্তী জিতু বলেন, ‘এটা অসাধারণ উদ্যোগ। বিশেষ করে যন্ত্রশিল্পীরা এই মহামারিতে বড্ড বিপদে আছেন,  কারণ, শো বন্ধ। যারা না খেয়ে থাকলেও মুখফুটে চাইতে পারেন না। যাদের একমাত্র অবলম্বন স্টেজ শো। গীতিকবি সংঘের উদ্যোগে আমি নিজে প্রায় ৩০ জন যন্ত্রশিল্পীকে এই খাদ্য উপহার পৌঁছে দিয়েছি। তারা প্রত্যেকে খুশি হয়েছেন। সাধুবাদ জানিয়েছেন। আমি মনে করি, অন্য সংগঠনগুলোরও এভাবে মানবিক উদ্যোগ নেওয়া জরুরি।’

এদিকে গীতিকবি আহমেদ রিজভী বলেন, ‘এটা সংঘের পক্ষ থেকে অসাধারণ একটি উদ্যোগ। আমি নিজেও এই খাদ্য উপহার বিতরণ কার্যক্রমে আনন্দ নিয়ে অংশ নিয়েছি। পৌঁছে দিয়েছি বেশ ক’জন গীতিকবি আর যন্ত্রশিল্পীর ঘরে। কারণ, আমি জানি সংগীতের মানুষগুলো কতোটা খারাপ সময় পার করছে গত এক বছর। সত্যি বলতে, এই দুর্দিনে মানুষগুলোর পাশে দাঁড়ানোর মতো সংগঠন বা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা তো খুবই কম। সেখানে সংঘের এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।’

উল্লেখ্য, গত বছর করোনা মহামারির প্রথম ধাপেও গীতিকবি সংঘের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেওয়া হয় সংগীতাঙ্গনের নানা স্তরের মানুষের কাছে।

Print Friendly, PDF & Email

Related Posts