জানা যায়, বালিথা এলাকার এই বৃদ্ধের নাম মো. সদর হোসেন (৫৭)।
স্বজনরা জানান, সদর হোসেন একজন মাছচাষি। পুকুরের মাছ ফাও না দেওয়ায় সদর হোসেনকে পিটিয়ে হত্যা করেছেন একই এলাকার খোকন (৪০) নামের এক যুবক।
রোববার (৯ মে) সকাল ১০ টায় পুকুরে মাছের খাবার দিয়ে আসার সময় বালিথা পূর্ব পাড়া বড় মসজিদের রাস্তা পাশে লোহার পাইপ দিয়ে তাকে মারধর করা হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে একদিন পর তিনি মারা যান।
নিহত সদর হোসেন সুতিপাড়া ইউনিয়নের বালিথা উত্তর পাড়া গ্রামে মৃত হানিফ ব্যাপারির ছেলে।
ঘাতক খোকন একই ইউনিয়ন ও একই গ্রামের মৃত তোতা মিয়ার ছেলে।
নিহতের ছেলে শামিম হোসনে বলেন, আমার বাবা একটি পুকুর লিজ নিয়ে মাছ চাষ করতেন আমি চাকরি করি। আমি আমার বাবার এক মাত্র ছেলে। মাঝে মধ্যে আমার বাবাকে ফাও মাছ দেওয়ার কথা বলত খোকন। কয়েকবার ফাও মাছ দিয়েছে । এবার পুকুর থেকে মাছ মেরে খোকনকে মাছ না দেওয়ায় বাবাকে লোহার পাইপ দিয়ে তাকে মারধর করা হয়। এক পর্যায়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে বাবার বুকে পা দিয়ে হাত টেনে ছিড়ে ফেলে। বাবাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একদিন পর মারা যান।
এ ঘটনায় কোন মামলা না করতে হত্যাকারির আপন দুলাভাই সুতিপাড়া ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী চেয়ারম্যান প্রার্থী রফিকুল ইসলাম নপু বাধা প্রদান করে বলেও অভিযোগ করেন শামিম।
তবে এ ব্যাপারে রফিকুল ইসলাম নপু বলেন, মামলা করতে আমি কোন প্রকার বাধা প্রদান করি নাই।
এ ব্যাপারে ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি (তদন্ত) কামাল হোসেন বলেন, এ ঘটনায় নিহতের ছেলে শামিম হোসেন বাদী হয়ে একজনকে আসামী করে একটা মামলা দায়ের করেছেন। আসামী গ্রেফতারে অভিযান চলছে।