হবিগঞ্জ প্রতিনিধি: আলহাজ্ব সফিকুল ইসলাম খান (মিয়া খা মাস্টার) এর স্মৃতি রক্ষায় পাঠাগার ও স্মৃতি কর্মশালার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে শিক্ষা বৃত্তির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
মরহুমের বড় ছেলে গুওশেন (বিডি) লিমিটেডের পরিচালক রোটারিয়ান সাখাওয়াত হোসেন খান তার ভাইদের নিয়ে এ পাঠাগার প্রতিষ্ঠা করেন। তাদের নিজ বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়ি জেলার কসবা উপজেলার সৈয়দাবাদ গ্রামে মরহুম মিয়া খা মাস্টারের থাকার ঘরটিতে পাঠাগারটি পরিচালিত হচ্ছে।
মরহুমের মৃত্যু ও জন্মবার্ষিকীতে শিক্ষা বৃত্তি প্রদান করা হবে। এছাড়া তৃণমূল শিক্ষার্থীদের জন্য এ পাঠাগার উন্মুক্ত থাকবে।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেন সমাজসেবক শাখাওয়াত হোসেন খানের পত্নী সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী।
তিনি বলেন, তার শ্বশুর ছিলেন মাটির মানুষ। জীবনের পুরো সময় মানবকল্যাণে ব্যয় করে গেছেন। নিজ সন্তানের ন্যায় তৃণমূল পরিবারের সন্তানদেরকে বিনা পারিশ্রমিকে পাঠ দান করিয়েছেন। এলাকায় মিয়া খা মাস্টার নামেই তিনি পরিচিত। এ প্রেক্ষিতে আমি প্রস্তাব করলাম ওনার নামে একটি পাঠাগার প্রতিষ্ঠা করার। এতে গুরুত্ব দিয়ে পাঠাগারটি প্রতিষ্ঠা হয়েছে। পাঠাগারটির মাধ্যমে তৃণমূলে সুশিক্ষার আলোয় আলোকিত করা হবে। এতে সবার সার্বিক সহযোগীতা একান্তভাবে প্রয়োজন।
সমাজসেবক শাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, তার পিতা মাটি ও মানুষে নিয়ে কাজ করে গেছেন। তিনি সুশিক্ষার আলো ছড়িয়েছেন। তিনি চলে গেছেন। রেখে গেছেন অনেক স্মৃতি। এলাকার লোকজন তাকে এখনও ভুলেনি। তাই সবার মাঝে বাবার স্মৃতি অম্লান করে রাখতেই একটি সমৃদ্ধ পাঠাগার প্রতিষ্ঠা। এতে আমার পরিবারের সবাই খুশি। এ সংবাদ শুনে এলাকার লোকজনের মাঝেও বিপুল উৎসাহ দেখা দিয়েছে। ৪ জুন এ পাঠাগারের মাধ্যমে তৃনমূলের সন্তানদের মাঝে শিক্ষা বৃত্তি প্রদান করা হয়। বিতরণ করা হয় খাদ্যমাগ্রী। এ ধারা অব্যাহত থাকবে।
মামুন/হবি