ইফতেখার শাহীন: ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছাসে বরগুনা উপকূলের যে অপুরনীয় ক্ষতি হয়েছে তাতে দুর্ভোগ বেড়েছে এ অঞ্চলের খেটে খাওয়া মানুষের। বিশখালী, বলেশ্বর ও পায়রা নদীর সৃষ্ট জোয়ারের পানির তোড়ে বেড়ি বাঁধ ভেঙে এবং উপচে প্লাবিত হয়েছে গ্রামের পর গ্রাম। এতে জেলার প্রায় লক্ষাধিক মানুষের দৈনন্দিন জীবন যাত্রা থেমে গেছে। ভাসিয়ে নিয়ে গেছে ঘের ও পুকুরের মাছ, ক্ষতি হয়েছে জমির ফসল।
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে প্লাবিত এলাকাগুলোর পানি নামতে শুরু করলেও দুর্ভোগ বেড়েছে খেটে খাওয়া মানুষের, দেখা দিয়েছে সুপেয় পানি ও খাদ্য সংকট। পানির তোড়ে ভেসে গেছে দৈননিন্দন জিনিস পত্র। ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ঘর বাড়ী। তাই একরকম অর্ধাহারে অনাহারে রয়েছে এসব এলাকার বাসিন্দারা। সংকট নিরসনে ত্রাণ কার্যক্রম হাতে নিয়েছে জেলা প্রশাসন।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বরগুনা জেলার ৬ টি উপজেলায় ক্ষতিগ্রস্থ ৩৪ টি ইউনিয়নে দীঘি, ঘের ও পুকুরের মৎস্য সম্পদের ক্ষতি হয়েছে ১ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। এছাড়া বরগুনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জেলায় ৫২.০২ হেক্টর জমির ফসলের ক্ষতি হয়েছে যার মূল্য ২ কোটি ১৯ লাখ টাকা। তবে, এখন পর্যন্ত ঘরবাড়ীর ক্ষয়ক্ষতির পরিমান সঠিকভাবে নিরুপন করা সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে বরগুনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( সার্বিক) আশ্রাফুল ইসলাম বলেন, বরগুনা জেলার ৬ টি উপজেলায় ১ কোটি ২৩ লাখ ৯৫ হাজার টাকা, খাদ্য শশ্য ৫৫ মেঃ টন চাল এবং ১৫’শ প্যাকেট শুকনো খাবার দূর্গত মানুষের জন্য ত্রান সহায়তা দেয়া হয়েছে। ত্রান কার্যক্রম চলমান থাকবে।