আরিফুল ইসলাম, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। প্রতিদিনই বাড়ছে নতুন নতুন আক্রান্তের সংখ্যা। জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৩১৩টি নমুনার মধ্যে নতুন করে ১১৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে।
নতুন আক্রান্তদের মধ্যে সদর উপজেলায় ৫৪ জন, দেলদুয়ারে ৬ জন, সখীপুরে ১ জন, মির্জাপুরে ১০ জন, বাসাইলে ৮ জন, কালিহাতী ২০ জন, ঘাটাইলে ৮ জন, মধুপুরে ১ জন, ভূঞাপুরে ৩ জন এবং গোপালপুরে ২ জন রয়েছেন।
এ নিয়ে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত জেলায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের মোট সংখ্যা ৫ হাজার ৮২৫ জন। একদিনে শনাক্তের হার ৩৬.১০ ভাগ। জেলায় মোট শনাক্তের হার ১৫.০২ ভাগ। গত ১৭ দিনে জেলায় ৭৮৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
অপরদিকে করোনায় আক্রান্তের সাথে সাথে মৃত্যুর সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। নতুন করে জেলায় আরো ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। জেলায় এখন পর্যন্ত ৯৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সিভিল সার্জন অফিস সূত্র জানা গেছে, বুধবার টাঙ্গাইল এবং ঢাকায় ৩১৩টি নমুনার পাঠানো হয়। এতে নতুন করে ১১৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয় এবং ২০০ জনের করোনা নেগেটিভ আসে। যা একদিনে শনাক্তের হার ৩৬.১০ ভাগ। করোনায় মোট সুস্থ হয়েছেন ৪৩৭১ জন, আর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৪৪৩ জন। এখন পর্যন্ত মোট ২৬ হাজার ৮০১ জনকে কোয়ারেন্টাইনে আনা হয়েছিলো। এর মধ্যে ২৫ হাজার ১৪৯ জনকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। জেলায় এখন পর্যন্ত ৩৮ হাজার ৭৫৯টি নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে মোট করোনায় আক্রান্ত হয় ৫৮২৫ জন। এর প্রেক্ষিতে জেলায় মোট করোনা শনাক্তের হার ১৫.০২ ভাগ। গত ১৭ দিনে জেলায় ৭৮৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
সূত্র আরো জানা গেছে, গত বছরের ৮ এপ্রিল জেলায় প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। সদর উপজেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা সব চেয়ে বেশি। আর সব চেয়ে কম করোনা রোগী শনাক্ত হয় বাসাইল উপজেলায়।
টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মো. শাহাবুদ্দিন খান জানান, গত একমাস ধরে জেলায় করোনা ভাইরাসের প্রকপ বেড়ে গেছে। বিশেষ করে গত এক সপ্তাহ যাবত ৩০ ভাগের বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে। আমরা কঠোর বিধি নিষেধ আরোপ করার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছি।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক আতাউল গণি জানান, করোনা ভাইরাসের প্রকপ শুরু করার পর থেকেই আমরা সকলে মিলে সচেতনতা বাড়াতে কাজ করে যাচ্ছি। সেই সাথে যারা স্বাস্থ্যবিধি মানছেনা তাদের বিরদ্ধে জরিমানা করা হলেও কাংক্ষিত মাত্রার ফল পাওয়া যাচ্ছে না। প্রতিদিনই করোনা রোগী বাড়ছে। তাই আমরা আগামী শনিবার উর্ধ্বতন কর্তপক্ষের সাথে কথা বলে জেলার অধিক সংক্রমিত টাঙ্গাইল সদর, কালিহাতি ও মির্জাপুর এই তিনটি উপজেলায় লকডাউনের পরিকল্পনা করছি।