ইফতেখার শাহীন: সরকার ঘোষিত ৭ দিনের ‘কঠোর লকডাউন বা বিধিনিষেধের’ প্রথম দিনে বৃহস্পতিবার সকাল ৬ টা থেকে বরগুনার সড়কে গণপরিবহণের দেখা মেলেনি। এ ছাড়া জনসমাগমও খুব একটা চোখে পড়েনি। তবে অলিগলিতে কিছু রিকশা ও মোটরসাইকেল চলাচল করতে দেখা গেছে। সকাল থেকেই রাস্তায় নেমেছে নৌ-বাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। শহরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর অবস্থানের চিত্র দেখা গেছে। মোড়ে মোড়ে পুলিশ এবং চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া রাস্তায় কাউকে থাকতে দিচ্ছেননা তারা। এই বিধিনিষেধ থাকবে আগামী ৭ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে সাড়ে ১১ টা পর্যন্ত বরগুনা শহরের কাঁচা বাজার মাছ বাজার, সদর রোড, টাউন হল বাসষ্ট্যান্ড, সাহাপট্টি, খলিফাপট্টি এবং ক্রোপ এলাকায় প্রয়োজন ছাড়া তেমন কোনো মানুষের চলাচল দেখা যায়নি এবং বিধিনিষেধের আওতার বাইরে কিছু দোকান খালা থাকলেও সকল দোকান ছিলো বন্ধ। প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হলেই গ্রেপ্তারের কথা বলছে পুলিশ।
এদিকে মাঠে নেমেছে মোবাইল টিম। বরগুনা শহরের বিভিন্ন স্থানে ঘুরতে দেখা গেছে তাদের। শহরের কাঠ বাজার খোলা রাখার অপরাধে সভাপতি জয়নাল খলিফাসহ কাঠ ব্যবসায়ীদের ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ৫ হাজার টাকা জরিমানা এবং শহরের বিভিন্ন স্থানে ২’শ থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হয়েছে। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট মেহেদী হাসান।