বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ সাকিব আল হাসান ও মেহেদি হাসান মিরাজের ঘূর্ণিতে জিম্বাবুয়ের প্রথম ইনিংস ২৭৬ রানে থামিয়ে দেওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৪৫ রান যোগ করেছে বাংলাদেশ। আগের ইনিংসের ১৯২ রানসহ টাইগারদের লিড এখন ২৩৭। ওপেনার সাদমান ইসলাম ও সাইফ হাসানের দারুণ জুটিতে তৃতীয় দিন শেষ করেছে টাইগাররা।
শুক্রবার হারারেতে একমাত্র টেস্টের তৃতীয় দিনের প্রথম সেশন ভালো না কাটলেও পরের দুই সেশনে বোলিং নৈপুণ্যে স্বাগতিকদের প্রথম ইনিংস গুটিয়ে দেয় বাংলাদেশ। পরে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে এসে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৪৫ রান তোলে টাইগাররা। ওপেনার সাদমান ২২ ও সাইফ ২০ রানে অপরাজিত থেকে দিনের সমাপ্তি টানেন।
এর আগে, সকাল দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান ব্রেন্ডন টেইলর ও কাইতানোর জমাট জুটিতে দারুণভাবে এগোচ্ছিল স্বাগতিকরা। বল হাতে সাকিব, তাসকিনদের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায় এই জুটি। তাদের ১১৫ রানের এই বিশাল জুটিতে আঘাত হানেন মেহেদি হাসান মিরাজ। ৫৭তম ওভারের পঞ্চম বলে টেইলরকে স্কয়ার লেগে ইয়াসির আলীর তালুবন্দি করেন মিরাজ।
দ্বিতীয় সেশনে জিম্বাবুইয়ান ব্যাটসম্যানদের প্রতিরোধ হঠাৎ ভেঙে দেন সাকিব-তাসকিনরা। টেইলরের বিদায়ের পর কাইতানো সঙ্গে দারুণভাবে রান তুলতে থাকেন ডিয়ন মায়ার্স। এই জুটিতে ২৩ ওভারের মতো কাটিয়ে দেন তারা। তবে এরপর আর দাঁড়াতে দেননি সাকিব। ৪৯ রানের এই জুটিটি ভেঙে দলকে ম্যাচে ফেরান তিনি। সাকিবকে সুইপ শট খেলতে গিয়ে বাউন্ডারিতে মেহেদি হাসান মিরাজের ক্যাচ হন মায়ার্স। ৬৫ বলে একটি করে চার-ছক্কায় ২৭ রান করেন তিনি।
এরপর আবারও উইকেটে আঘাত হানেন সাকিবের। ১৭ বলে খেলে কোনো রান করতে না পারা টিমিসেন মারুমাকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন টাইগার অলরাউন্ডার। খানিক পরই নতুন ব্যাটসম্যান রয় কাইয়াকে ফেরান তাসকিন আহমেদ।
তৃতীয় সেশনে চোখ রাঙাচ্ছিল স্বাগতিক ব্যাটসম্যানরা। কিন্তু দ্রুততার সঙ্গে ম্যাচে মোড় নেন মিরাজ। তাকে ফ্লিক করতে গিয়ে লেগ সাইডে উইকেটরক্ষক লিটন দাসের দুর্দান্ত ক্যাচ হন জিম্বাবুইয়ান ওপেনার কাইতানো। ৩১১ বলে ৮৭ রানের ধৈর্য্যশীল ইনিংসে ৯টি বাউন্ডারি হাঁকান তিনি। এরপর ডোনাল্ড তিরিপানোকে (২) এলবিডব্লিউ এবং ভিক্টর নিয়াচি (০) ও ব্লেসিং মুজারবানিকে (২) বোল্ড করেন মিরাজ। শেষটা আবার সেই সাকিবের। রিচার্ড এনগাভারাকে (০) স্লিপে নাজমুল হাসান শান্তর সহজ ক্যাচ বানিয়ে জিম্বাবুয়ের ইনিংস মুড়িয়ে দেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
বল হাতে ৩৪.৫ ওভারে ৮২ রান দিয়ে চার উইকেট নেন সাকিব। তবে ৩১ ওভার বল করে সমান সংখ্যাক রান দিয়ে পাঁচ উইকেট তুলে নেন মিরাজ।