৭ গ্রামের মানুষের বাঁশের সাঁকোই ভরসা

আরিফুল ইসলাম, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের নাগরপুরে একটি সেতুর অভাবে কমপক্ষে ৭টি গ্রামের মানুষের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। উপজেলার পংবাইজোড়া-দেইলস্না সড়কের ধলেশ্বরীর শাখা নদীর ওপর সেতু না থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সীমাহীন কষ্ট নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে এলাকবাসীর। প্রায় তিন বছর আগে স্থানীয়রা স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে একটি বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করেন। এখন এই বাঁশের সাঁকোটিই ওই ৭ গ্রামের মানুষের একমাত্র ভরসা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মোকনা ইউনিয়নের লাড়ুগ্রামের এই অংশেই আজ থেকে ২০ বছর আগে ধলেশ্বরী নদী বহমান ছিল। নদী তার গতিপথ পরিবর্তন করে এখান থেকে আরো পূর্বদিকে সরে গেছে। আর এখানে রেখে গেছে সরম্ন খালের মতো শাখা নদী। নদীর পাশেই জেগে উঠা চরে ধীরে ধীরে মানুষ তাদের বসতি গড়তে শুরু করে। আর এখন এই ওয়ার্ডের ৭টি গ্রামের জনগণের উপজেলা শহরের সাথে যোগাযোগের একমাত্র সড়ক হয়ে উঠেছে পংবাইজোড়া-দেইল্লা সড়কটি। এই সড়ক দিয়ে পংবাইজোড়া, লাড়ুগ্রাম, দেইলস্না, স্বল্প লাড়ুগ্রাম, নিউ চৌহলী পাড়া, পংবড়টিয়া ও ঘুণি গ্রামের স্কুল কলেজগামী ছাত্র ছাত্রী সহ হাজার হাজার পথচারী প্রতিনিয়ত যাতায়াত করে। সেতু না থাকার কারনে বর্ষা মৌসুমে নৌকা যোগে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হয়। অপর দিকে আবাদী কৃষিপণ্য ক্রয় বিক্রয়ে চরম বিরম্বনার শিকার হতে হচ্ছে এ অঞ্চলের মানুষের।

স্থানীয় রফিকুজ্জামান বলেন, একটি সেতুর অভাবে আমরা দীর্ঘ ২০ বছর ধরে জীবনের সাথে যুদ্ধ করে বেঁচে আছি। সব এলাকার উন্নয়ন হলেও আমাদের এলাকার উন্নয়ন হয় না। আমরা শুধু একটি সেতুর অভাবে পিছিয়ে আছি।

স্থানীয় ইউপি সদস্য রিয়াজ উদ্দিন খান রাজা বলেন, তিন বছর আগে স্থানীয়ভাবে আমরা এখানে একটি বাঁশের সেতু নির্মাণ করি। এর পর ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দিয়েই আমাদেরকে চলাচল করতে হচ্ছে।

পংবড়টিয়া গ্রামের জয়নাল মিয়া জানান, বর্ষা মৌসুমে আমাদের দূর্ভোগ চরম আকার ধারন করে। গুরুতর প্রসূতি রোগীকে জরুরি প্রয়োজনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া সম্ভব হয় না। ফলে ঘটছে নানা দুর্ঘটনা।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মোকনা ইউপি চেয়ারম্যান মো. আতাউর রহমান খান কোকা বলেন, সেতু নির্মাণের দাবী ইতিমধ্যে একাধিক প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) কার্যালয় থেকে ১শত ৫০ ফুট সেতুর পরিমাপ করা হলেও কোন কাজ হচ্ছে না। পংবাইজোড়া-দেইলস্না সড়কে জরুরি ভিত্তিতে সেতু নির্মাণের দাবী এখন তাদের প্রাণের দাবী বলে জানান ইউপি চেয়ারম্যান মো. আতাউর রহমান খান কোকা।

 

Print Friendly

Related Posts