যে কারণে জিম্বাবুয়ের কাছে হারলো বাংলাদেশ

বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ টেস্ট-ওয়ানডে ও ১ম টি-টোয়েন্টিতে জয়ের পর এবারের সফরে প্রথমবারের মতো হারের মুখ দেখলো বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের ২য় টি-টোয়েন্টিতে ২৩ রানে হারলো টাইগাররা।

এ ম্যাচে বেশকিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়েছেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তারই পরিণাম গুনতে হয়েছে ফলাফলে। একাদশে পেসার মুস্তাফিজুর রহমানকে বসিয়ে খেলানো হয়েছে তাসকিন আহমেদকে। অভিষেক করানো হয়েছে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী ব্যাটসম্যান শামীম হোসেন পাটোয়ারীকে। ২০ ওভার করানো হয়েছে ৭ জনকে বোলারকে দিয়ে। ৩ নম্বরে ব্যাট করতে পাঠানো হয়েছে শেখ মেহেদি হাসানকে। এতসব পরীক্ষা-নিরীক্ষার দিনে হার সঙ্গী করে মাঠ ছেড়েছে দল।

হারারেতে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬৬ রান তোলে জিম্বাবুয়ে। জবাব দিতে নেমে স্কোরবোর্ডে ১৪৩ রানে তুলতেই অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ।

ঘরের মাটিতে কোন জয়ের মুখ না দেখা জিম্বাবুইয়ানরা এদিন শুরু থেকেই বাংলাদেশের বোলারদের উপর চড়াও হওয়ার চেষ্টা করে। যদিও ইনিংসের মাত্র ২য় ওভারেই উইকেট হারিয়ে বসে তারা। অফস্পিনার শেখ মেহেদি হাসানের আর্মবলটা বুঝে উঠতে পারেননি মারুমানি। মাত্র ৩ রান করে দলীয় ১৫ রানে বিদায় নেন তিনি।

এরপর চাকাভা, মেয়ার্স কিংবা রায়ান বার্ল ছোট ছোট ঝড় তুলেছেন। তবে সবচেয়ে কার্যকরী ইনিংসটা খেলেছেন ওপেনিংয়ে উঠে আসা ওয়েসলি মাধভেরে। দারুণ ফর্মে থাকা এই ব্যাটসম্যানের উইলো থেকে এসেছে ৭৩ রান। তাকে ফিরিয়েছেন তরুণ পেসার শরিফুল ইসলাম।

শেষদিকে রায়ান বার্লের ১৯ বলে ৩৪ রানের ঝোড়ো ইনিংসটায় ভর করে ১৬৬ রানের সংগ্রহ পেয়েছে স্বাগতিকরা। ৩টি উইকেট নিয়েছেন শরিফুল। ১টি করে উইকেট গেছে শেখ মেহেদি ও সাকিব আল হাসানের দখলে।

জবাব দিতে নেমে আগের দিনের দুই ফিফটি করা ব্যাটসম্যান সৌম্য সরকার ও মোহাম্মদ নাঈম শেখ ব্যর্থ। দু’জনের সংগ্রহ যথাক্রমে ৮ ও ৫।

৩-এ নামা শেখ মেহেদির ব্যাট থেকে আসে ১৫ রান। তবে তার ইনিংসটাকে কোনভাবেই টি-টোয়েন্টিমানের বলা যাবে না। ১৯ বল খেলে ১৫ রান করেন তিনি।

সাকিব (১২), মাহমুদউল্লাহ (৪) ও সোহান (৯) ফিরে যান দ্রুতই। অভিষিক্ত শামীম হোসেন পাটোয়ারি চেষ্টা করেছিলেন ব্যাটে ঝড় তুলতে। ১৩ বলে ২৯ রানের টর্নেডো ইনিংসটি থামে বাউন্ডারিতে ক্যাচ হয়ে।

আফিফের ২৫ বলে ২৪ রানের ইনিংস আর সাইফউদ্দিনের ১৫ বলে ১৯ রান দলকে জেতানোর মতো ছিলো না।

ম্যাচে জয় নিয়ে সিরিজে ফিরলো জিম্বাবুয়ে। সিরিজের শেষ ম্যাচটি এখন হয়ে গেলো শিরোপা নির্ধারণী।

Print Friendly, PDF & Email

Related Posts