ইফতেখার শাহীন: টানা পাঁচদিনের প্রবল বর্ষণ ও ঝড়ো হাওয়ার কারনে বরগুনা জেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া নদীর তীরবর্তী এলাকার ঘরবাড়িতে পানি প্রবেশ করায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সেখানকার মানুষ।
বৃষ্টির পানি ও জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে গ্রামাঞ্চল। বেড়িবাঁধ ভেঙে জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে রাস্তাঘাট ও ফসলি জমি। ভেসে গেছে পুকুরে চাষের মাছ। নিমজ্জিত হয়েছে আমন ধানের ক্ষেত।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের জেলা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এবার জেলায় এক লাখ ২২ হাজার ৯৯৪ হেক্টর জমিতে আমন চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে। এসব জমিতে আমন আবাদের জন্য ১৫ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে বীজতলা করা হয়। কিন্তু প্রবল বর্ষণের কারণে অধিকাংশ এলাকার বীজতলা পানিতে ডুবে আছে। এতে বীজতলার চারাগুলোতে পচন ধরার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এছাড়া আমনের আবাদের মৌসুমে জমি চাষাবাদও বন্ধ রয়েছে।
এদিকে অতি বর্ষণের সঙ্গে ঝড়ো হাওয়ায় সৃষ্ট ঢেউয়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে বরগুনা সদরের বিভিন্ন নিম্নাঞ্চল পানিতে তলিয়ে গেছে।
অতিবৃষ্টিতে পানি বন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় কয়েক হাজার পরিবার। উড়ে গেছে ঘরের চালা পড়ে গেছে গাছ। অসহায় হয়ে পড়েছে নদী তীরবর্তী গ্রামের মানুষ।
বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলা সাগর ও নদীর নিকটবর্তী হওয়ার কারনে এ উপজেলায় লোকালয় ও ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পাথরঘাটা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শিশির কুমার বড়াল জানান, একটানা বৃষ্টির কারনে আমন ধানের বীজতলা ৮৭৬ হেক্টর যার মধ্যে ৮৪ হেক্টর ফসল পানিতে নিমজ্জিত হয়ে গেছে। এতে ক্ষতির মুখে পড়েছে কৃষক।
এ বিষয়ে বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী কায়সার আলম বলেন, আমাদের ২২ টি পোল্ডারের ৮০০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের বেশকিছু এলাকায় ভাঙন কবলিত হয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে আমরা সেসব এলাকার বাঁধ রক্ষার ব্যবস্থা নিচ্ছি।