বাংলাওয়াশ এড়ালো অস্ট্রেলিয়া

ছোট লক্ষ্য গড়েও বোলারদের দারুণ নৈপুণ্যতায় অস্ট্রেলিয়ার ভিত নাড়িয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু শুরু দিকে সাকিব আল হাসানের ব্যয় বহুল ওভারের পর ম্যাচ যে হেলে গেছে তা আর নিজেদের দিকে দোলাতে পারেনি স্বাগতিকরা। মুস্তাফিজ, মেহেদীদের প্রবল চেষ্টার পরও ম্যাচ জিতে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা এড়ায় সফরকারীরা। পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ৩-১ এগিয়ে বাংলাদেশ।

শনিবার সন্ধ্যায় মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে টসে জিতে ৯ উইকেট হারিয়ে ১০৪ রান তোলে বাংলাদেশ। জবাবে এক ওভার বাকি থাকতেই তিন উইকেট হাতে রেখে জয় তুলে নেয় অজিরা। বল হাতে ৪ ওভারে মাত্র ৯ রান দিয়ে ২ উইকেট শিকার করে মুস্তাফিজ।

ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে এসে বরাবরের মতো ব্যর্থ অতিথি অধিনায়ক ম্যাথু ওয়েড। ব্যর্থ হন আগের দিনে প্রতিরোধ গড়া বেন ম্যাকডেরমট। দুই ওপেনারের ব্যর্থতাকে দারুণভাবে কাজে লাগিয়েছেন তিনে আসা ড্যান ক্রিশ্চিয়ান। সাকিব আল হাসানের এক ওভারের চার বলকে ছয়ে পরিণত করে দ্রুত রান তুলেন এই ব্যাটসম্যান। মাত্র ১৫ বলে ৩৯ করা এই বিধ্বংসী ব্যাটসম্যানকে ফেরান মুস্তাফিজ।

এরপর একপাশ আগলে রাখেন পুরো সিরিজে অজিদের ব্যাটিংয়ে আলো ছড়ানো মিচেল মার্শ। অন্যপ্রান্তে একের পর এক ব্যাটসম্যানকে বিদায় করে ম্যাচে ফেরার লড়াই করে টাইগার বোলাররা। তবে মার্শকেও বেশি সময় থিতু হতে দেননি মেহেদী। মাত্র ১১ রান করে বোল্ড হয়ে ফেরেন তিনি। তবে শেষের দিকে অ্যান্ড্রু টাই এবং অ্যাস্টন টার্নারের ব্যাটে ৬ বল বাকি থাকলেই তিন উইকেটের জয় পায় অস্ট্রেলিয়া।

এর আগে, প্রথম তিন দিনের চেয়ে শুরুটা ভিন্ন হয়েছে ঠিকই কিন্তু সৌম্য সরকার ছিলেন আজও অভিন্ন। ১০ বল মোকাবেলা এক ছয়ে ৮ রান করেন এই ওপেনার। তিনে এসে বল ব্যাটে বল ঠিকভাবে মেলাতে পারেননি সাকিব। উইকেটে কামড়ে থাকার বিপরীতে ২৬ বলে ১৫ করেন হ্যাজলউডের দ্বিতীয় শিকার হন তিনি।

দলের প্রয়োজন মেটাতে ব্যর্থ হন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও নুরুল হাসান সোহান। সফরকারী একাদশে সুযোগ পাওয়া মিচেল সোয়েপনারের পরপর দুই শিকার হন এই যুগল। ১১তম ওভারের পঞ্চম বলে রিয়াদ ও শেষ বলে সোহানকে সাজঘরে ফেরান তিনি। উইকেট কামড়ে ধরে রাখা ওপেনার নাঈম শেখকেও ফেরান এই স্পিনার। ২৮ রান করে সোয়েপনারের তৃতীয় শিকার হন তিনি। ম্যানেজমেন্টের চাওয়ার প্রতিদান দিয়ে ৪ ওভারে মাত্র ১২ রান দিয়ে তিন উইকেট নেন সোয়েপনার।

ষষ্ঠ উইকেটের জুটিতে আশা জাগিয়ে ফেরেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। ১৮ বলে ২০ রান করা এই ব্যাটসম্যানকে ফেরান অ্যাস্টন অ্যাগার। বরাবরের মতো আজও ব্যর্থ শামীম। ১৮তম ওভারের দ্বিতীয় বলে মিডউইকেটে সহজ ক্যাচে তাকে ফেরান অ্যান্ড্রু টাই। শেষের দিকে শেখ মেহেদীর ১৬ বলে ২৩ রানের ইনিংসে ভর করে নয় উইকেট হারিয়ে ১০৫ রান তোলে বাংলাদেশ। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন সোয়েপনার।

Print Friendly, PDF & Email

Related Posts