আরিফুল ইসলাম, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলায় নবনির্মিত পাকা রাস্তার কাজ শেষ না হতেই ভাঙ্গতে শুরু করেছে। নিম্নমানের কাজ করায় মাসখানেকের মধ্যে রাস্তাটি ভেঙে পড়েছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের হালুয়াপাড়া থেকে কর্মকারপাড়া পর্যন্ত ৯৫০ মিটার রাস্তার এমন বেহাল দশা। ৭০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত পাকা রাস্তাটি কাজ শেষ না হতেই দুপাশ ধসে পরেছে।
হালুয়াপাড়া গ্রামের জয়নাল মিয়া বলেন, নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা এবং রাস্তার দুই পাশে মাটি না দেয়ায় এক মাসেই রাস্তাটি ভেঙ্গে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে গেছে। কাজ চলাকালীন সময়ে অভিযোগ করা হলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ বন্ধ করে দেয়ার হুমকি প্রদান করেন।
একই গ্রামের জাহাঙ্গীর বলেন, নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে রাস্তার কাজ করা হয়েছে। এছাড়া প্রয়োজনের তুলনায় কম বিটুমিন ব্যবহার করা হয়েছে। পিসও ঠিক মতো দেয়া হয় নাই। খোয়া দেখা যায়। রাস্তার দুই পাশে তিন ফুট করে মাটি দেয়ার কথা থাকলেও দেয়া হয় নাই। ফলে কয়েকদিনে মধ্যেই রাস্তা ভেঙ্গে গিয়েছে।
বাসাইল উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল জলিল বলেন, আমি এ উপজেলায় আসার পূর্বেই রাস্তাটির কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে।
বাসাইল উপজেলা উপ-সহকারী প্রকৌশলী মনিরুজ্জামান বলেন, রাস্তাটির বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে অবহিত করা হয়েছে। বর্ষা মৌসুম চলে গেলে রাস্তাটি পুনরায় করা হবে। ৭০ লাখ টাকার রাস্তাটি টেন্ডার পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স নাইস এন্টারপ্রাইজ। রাস্তাটির সম্পূর্ণ টাকা ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া হয়নি। মাটির সমস্যার জন্যই রাস্তাটি এমন হয়েছে।
মেসার্স নাইস এন্টারপ্রাইজের কর্ণধার নাইস বলেন, “নতুন মাটি ও বালুর ওপরে পিচ ঢালাই করা হয়েছে। তাই বৃষ্টিতে এটি ধুয়ে নেমে গেছে। এ কারণে হয়তো স্থানীয়রা কাজের মান ও নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। ভাঙ্গা স্থান ঠিক করে দেয়া হবে এবং দুইপাশে মাটি দেয়া হবে।