জ.ই বু্লবুল: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার তিতাস নদে নৌকাডুবির ঘটনায় ২২ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে লইছকা বিলে একটি বালুবাহী ট্রলারের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে নৌকাটি ডুবে যায়। পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় লোকজন উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে বিজয়নগর উপজেলার চম্পকনগর নৌকার ঘাট থেকে যাত্রীবাহী একটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদরের উদ্দেশে রওনা করে। তিতাস নদের বিজয়নগর উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের লইছকা বিলে বালুবাহী একটি ট্রলারের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। সে সময় যাত্রীবাহী ইঞ্জিনচালিত নৌকাটির পেছনে আরেকটি বালুবাহী ট্রলার ছিল। এটিও যাত্রীবাহী ইঞ্জিনচালিত নৌকাটিতে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে যাত্রীবাহী নৌকাটি উল্টে ডুবে যায়। নৌকাটিতে শতাধিক যাত্রী ছিল।
আহত যাত্রীরা জানান, প্রথমে ধাক্কা দেওয়া ট্রলারটি দ্রুত পালিয়ে যায়। রাত পৌনে আটটা থেকে নয়টা পর্যন্ত স্থানীয় লোকজন দুটি শিশু, একজন তরুণ, আটজন নারীসহ ১৯ জনের লাশ উদ্ধার করেন। পরে সদর থানার পুলিশ, ফায়ার সার্ভিসের লোকজন স্থানীয় ব্যক্তিদের সঙ্গে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেন। আরো লাশ পাওয়া যাবে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
তবে এখন পর্যন্ত যাঁদের পরিচয় জানা গেছে তাঁরা হলেন বিজয়নগর উপজেলার আজমপুরের শিলবাড়ির পরিমল বিশ্বাসের স্ত্রী অঞ্জনা বিশ্বাস, জজ মিয়ার স্ত্রী ফরিদা বেগম ও চম্পকনগরের মিনারা বেগম।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ–দৌলা খান ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের বলেন, নিহত ব্যক্তিদের পরিবারগুলোকে ২০ হাজার করে টাকা দেওয়া হবে। একই সঙ্গে নৌ দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করতে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সকল গণমাধ্যম ফলাও করে সংবাদটি প্রচার হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।