এস এম সাব্বির: গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার মহেশপুর ইউনিয়নের বালিয়াডাঙ্গা গ্রামে একজনের ভোগ দখল করা জমি অন্যের নামে ভোগ দখল দেখানোর অভিযোগ উঠেছে।
বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের মো. মোতালেব মোল্যা ও মুনজুর মোল্যা জানান, জয়নগর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মুহাম্মদ ইমারত হোসেন মিয়া তাদের ভোগ দখলকৃত জমির বিরুদ্ধে ৩৩৩/২১নং মিস পিটিশন তপসিল ভূমির তদন্ত প্রতিবেদনে একই গ্রামের মো. আওয়াল মোল্যাকে দখলদার হিসেবে দেখান।
অথচ এই সম্পত্তির সকল পর্যায়ের কাগজপত্র, রেকর্ড ও ভোগ দখল সবকিছুই মোতালেব মোল্যা এবং তার সন্তানদের। এমনকি এই জমির খাজনা নিয়মিত পরিশোধ করেন তারা।
মো. মোতালেব মোল্যা ও মুনজুর মোল্যার অভিযোগ, তাদের জমি বেশ আগে দখল নেওয়ার চেষ্টা করেছিল এই আওয়াল মোল্যা। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সম্মুখে সালিসের মাধ্যমে জায়গা বুঝিয়েও দেয়া হয়। পরে আবার ভূমি কর্মকর্তার যোগসাজশে মিস পিটিশন মামলা দেয়। তারই তদন্ত প্রতিবেদনে এই অকাণ্ড ঘটানো হয়।
এ ব্যপারে মিস পিটিশনের বাদী আওয়াল মোল্যা বলেন, আমি শালিসীদের ভয়ে আমার ভাতিজা মনির মোল্যাকে সাথে নিয়ে মামলার তপসিল ভূমির সম্পত্তি বুঝিয়ে দিয়েছিলাম। পরে মিস পিটিশন মামলা করেছি।
জয়নগর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মুহাম্মদ ইমারত হোসেন মিয়া বলেন, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগটি পুরোপুরি সত্য নয়। তবে একথা সত্য কাগজপত্র অনুযায়ী ওই জমির মালিক মোতালেব মোল্যা। তিনি নিয়মিত খাজনাও দেন।
এ ব্যাপারে জেলা সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (নেজারত, প্রটোকল, ভূমি) মহসিন উদ্দীন জানান, বিষয়টি তার জানা নেই। তবে অভিযোগ পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জি/মনজুরুল
ছবি: জয়নগর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মুহাম্মদ ইমারত হোসেন মিয়া