আরিফুল ইসলাম, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের বাসাইলে সড়ক ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। সড়কটি বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ হিসেবে ব্যবহার হতো। তাই বাঁধটি ভেঙে নতুন করে বাসাইল উপজেলার দক্ষিণাঞ্চলের অন্তত ১০ গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
শনিবার সকালে বাসাইল-নাটিয়াপাড়া সড়কের বাসাইল দক্ষিণ পাড়া এলাকায় ভেঙে যায়।
এছাড়াও বিলপাড়া মসজিদ সংলগ্ন পাকা রাস্তার একাংশ ধ্বসে গেছে।ঝিনাই নদীর কবলে এই রাস্তাটি রাতে ধ্বসে পড়েছে।মসজিদ সংলগ্ন এর আগে কয়েক দফায় জিও ব্যাগ ফেলা হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, গত বছর বন্যায় বাসাইল-নাটিয়া পাড়া সড়কের পৌরসভার বাসাইল দক্ষিণ পাড়া এলাকায় একটি সেতু ভেঙে যায়। পরে উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে একটি প্রকল্প দিয়ে মাটি ভরাট করা হয়। সড়কটি বাসাইল, কাঞ্চনপুর ও হাবলা ইউনিয়ন ইউনিয়নবাসীর আঞ্চলিক যোগাযোগের মাধ্যম।
সড়কটি ব্যবহার করে বাসাইল উপজেলাবাসী মির্জাপুরের সঙ্গে অতি সহজে যোগাযোগ করতে পারায় অল্প দিনেই সড়কটি পরিচিতি পায়। সড়কটি ব্যবহার করে উপজেলার ঢাকাগামী যাত্রীরা অল্প সময়ে ঢাকা পৌঁছাতে পারে। তাই সড়কটি ভেঙে যাওয়ায় বিপাকে পরেছে এ সড়ক ব্যবহারকারীরা।
এই সড়ক দিয়ে বাসাইল উপজেলার আদাজান, কাঞ্চনপুর, বিলপাড়া, হাবলা, মির্জাপুর উপজেলার কুর্নী, ফতেপুর, পাটখাগুড়ী, মহেড়া, ভাতকুড়া, আদাবাড়ি এবং দেলদুয়ার উপজেলার নাটিয়াপাড়া, বর্নীসহ বিভিন্ন গ্রামের মানুষ বাসাইল উপজেলার যোগাযোগ করে। সড়কটি ভেঙে যাওয়ায় এসব এলাকার মানুষের বাসাইল সদরের যাতায়াত বন্ধ হয়ে গেছে।
বাসাইল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী অলিদ ইসলাম জানান, বিলপাড়া মসজিদ সংলগ্ন ঝিনাই নদীতে কয়েকবার জিও ব্যাগ ফেলা সত্ত্বেও রাস্তাটি ধ্বসে গেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের একটি প্রতিনিধি দল পরিদর্শন করে গেছেন। দুই-তিনদিনের মধ্যে কাজ করা হবে বলে আশস্ত করেছেন। এবং বাসাইল দক্ষিনপাড়া ইতিমধ্যেই নতুন করে ব্রিজ নির্মাণের প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে।
বন্যার পানি ঢুকে রাস্তাটি ভেঙে যাওয়ায় এ সড়ক দিয়ে সিএনজি মোটরসাইকেল চলাচলের জন্য অচিরেই বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলেও তিনি জানান।