বাংলাদেশি ‘ট্রায়াথলেট’ আরাফাতের অফিসিয়াল স্পনসর হলো এমজিআই

যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট জর্জ, ইউটাহ-তে আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিতব্য ‘আয়রনম্যান ৭০.৩ ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ’-এ কোয়ালিফাই করে বাংলাদেশ থেকে অংশগ্রহণ করবেন মোহাম্মদ সামছুজ্জামান আরাফাত। তার এই অংশগ্রহণের অফিসিয়াল স্পনসর হিসেবে পাশে থাকবে মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ (এমজিআই)।

সম্প্রতি ঢাকায় মোহাম্মদ সামছুজ্জামান আরাফাত এবং এমজিআই-এর পক্ষ থকেে এমজিআই-এর সিনিয়র ইডি তায়েফ বিন ইউসুফ চুক্তি স্বাক্ষর করেন।

চুক্তি অনুসারে শুধু ‘আয়রনম্যান ৭০.৩ ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ’-সহ আগামী ১ বছরের জন্য আরাফাতের অংশগ্রহণ করা সবগুলো স্পোর্টস এক্টিভিটি-ই স্পনসর করবে এমজিআই।

ওয়ার্ল্ড ট্রায়াথলন কর্পোরেশন (ডব্লিউটিসি) আয়োজিত ‘আয়রনম্যান ট্রায়াথলন’ হচ্ছে লং ডিসটেন্স রানিং-এর একাধিক ইভেন্ট, যা সবচেয়ে কঠিন ও কষ্টকর রেস হিসেবে বিশ্বে পরিচিত। এতে কোন বিরতি ছাড়াই ১৭ ঘন্টার মধ্যে অংশগ্রহণকারীদের ৩.৮৬ কি.মি. সুইমিং, ১৮০.২৫ কি.মি. সাইক্লিং ও ৪২.২০ কি.মি. রানিং করতে হয়। আয়রনম্যানের ৭০.৩ মাইল হচ্ছে হাফ আয়রনম্যান।

এর আগে আয়রনম্যান মালয়েশিয়া ২০১৯, আয়রনম্যান ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ ২০১৯, ফ্র্যাংকফুর্ট এবং আয়রনম্যান মালয়েশিয়া ২০১৭-তে কৃতিত্বের সাথে অংশগ্রহণ করেন আরাফাত।

এছাড়াও, টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া মাত্র ২০ দিনে শেষ করেন তিনি, যার মধ্যে ছিলো সাঁতরে যমুনা নদী পাড়ি দেওয়ার মতো দুর্বার সাহসিকতা। বাংলাদেশের ট্রায়াথলেট ‘ঢাকা চ্যালেঞ্জ ২০১৭’-এ দ্বিতীয় (বাংলাদেশিদের মধ্যে প্রথম) স্থান অর্জন করার পথে তিনি শেষ করেন ৪০০ মি. সুইমিং, ৩২ কি.মি. সাইক্লিং ও ৮ কি.মি. রানিং। সেইসাথে তিনি পরপর ৭ বছর টেকনাফ থেকে সেন্ট মার্টিন দ্বীপের মধ্যকার ‘বাংলা চ্যানেল’ পাড়ি দিয়েছেন।

এমজিআই সবসময়ই ‘ছাড়িয়ে যাই’ স্লোগানে বিশ্বাস করে এবং সে অনুযায়ী সব কার্যক্রম সম্পাদন করে। নিজেকে ছাড়িয়ে যাবার চ্যালেঞ্জ নেয়া বাংলাদেশের অ্যাথলেট/স্পোর্টস পার্সোনালিটির পাশে থাকতে এমজিআই তাই বদ্ধ পরিকর। এমজিআই-এর সাথে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে ইতিমধ্যেই যুক্ত আছেন বাংলাদেশের প্রথম আন্তর্জাতিক মোটরস্পোর্টস বিজয়ী অভীক আনোয়ার। সেই ধারাবাহিকতায় এবার যুক্ত হলেন ট্রায়াথলেট মোহাম্মদ সামছুজ্জামান আরাফাত।

Print Friendly

Related Posts