ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ডোপ টেস্টের আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে নীতিমালা নির্ধারণ করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য ও ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক টিটু মিয়াকে আহ্বায়ক করে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্ব অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় নীতিগতভাবে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) এএসএম মাকসুদ কামাল জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখন এটা কি প্রক্রিয়া করা হবে, এজন্য কি ধরনের সুযোগ-সুবিধা দরকার, এটা কি সরকারের তরফ থেকে করা হবে, নাকি বিশ্ববিদ্যালয় করবে, অর্থাৎ কিভাবে এটা বাস্তবায়ন করা হবে, সেটা নিয়ে কমিটি নীতিমালা তৈরি করবে।
অধ্যাপক টিটু মিয়া বলেন, ডোপ টেস্টের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তো এখন সক্ষমতা নেই। এটার জন্য ইকুইপমেন্টস লাগবে, ম্যানপাওয়ার লাগবে।
এটা কি বিশ্ববিদ্যালয়ে করা হবে, নাকি অন্য কোনো ইনস্টিটিউটে করা হবে, কিভাবে বাস্তবায়ন করা যায় সেটা নিয়ে আমরা একটি কমিটি কাজ করছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ ও প্রতি বছর নতুন শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে এই ডোপ টেস্ট করানো হবে জানান অধ্যাপক টিটু মিয়া।
প্রাথমিকভাবে অ্যাডমিশনের শুরুতে এই এই ডোপ করানো হবে। পর্যায়ক্রমে প্রতি ইয়ারে স্টুডেন্টদের একবার ডোপ টেস্ট করানো যেতে পারে। সক্ষমতা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় সেই সিদ্ধান্ত নেবে।
মাদকাসক্তদের চিহ্নিত করতে সকল পর্যায়ে ডোপ টেস্ট কার্যক্রম চালুর তাগিদ দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
গত রোববার জাতীয় সংসদে কমিটির এক বৈঠকে সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বছরে একবার ডোপ টেস্টের পাশাপাশি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়েও ডোপ টেস্টের তাগিদ দেওয়া হয়।