সহজ জয়ে পাঁচ ম্যাচের টি-টুয়েন্টি সিরিজ শুরু করলো বাংলাদেশ। মিরপুরে নিউজিল্যান্ডকে মাত্র ৬০ রানে গুঁড়িয়ে দিয়ে ৭ উইকেটের জয়ে মাঠ ছেড়েছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ শুক্রবার।
নিউজিল্যান্ড: ৬০/১০ (১৬.৫ ওভার) বাংলাদেশ: ৬২/৩ (১৫ ওভার)
কিউইদের বিপক্ষে টি-টুয়েন্টিতে এটিই প্রথম জয় টাইগারদের। আগের দশ লড়াইয়ে সবকটিতে জয় নিউজিল্যান্ডের। হোম কন্ডিশনের সুযোগ দারুণভাবে কাজে লাগিয়ে ব্ল্যাক ক্যাপসদের বিপক্ষে প্রথম জয়ের স্বাদ পেল বাংলাদেশ।
শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে ৬১ রানের সহজ লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ সিরিজে লিড (১-০) নেয় ১৫ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে। মুশফিকুর রহিম ১৬ ও মাহমুদউল্লাহ ১৪ রানে অপরাজিত থাকেন। সর্বোচ্চ ২৫ রান করেন সাকিব আল হাসান।
নাঈম শেখ ও লিটন দাস সাজঘরে ফেরেন শুরুতেই। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে শর্ট কাভারে ক্যাচ দেন নাঈম। বাংলাদেশের সংগ্রহ তখন ১ রান। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজের প্রথম বলে উইকেট নেন কোল ম্যাকনকি।
নাঈমের মতোই ১ রান করে লিটন ফেরেন পরের ওভারে। বাঁহাতি স্পিনার এজাজ প্যাটেলের বলে স্টাম্পড হন।
৭ রানে দুই ওপেনারকে হারানোর পর সাকিব ও মুশফিকের তৃতীয় উইকেট জুটিতে আসে ৩০ রান। ম্যাচসেরা সাকিব ৩৩ বলে দুই চারে ২৫ রান করে আউট হন রাচিন রবীন্দ্রর বলে।
খেলা শেষ করে আসেন মুশফিক। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে পাড়ি দেন বাকি পথ। ২৫ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন তারা।
হোম কন্ডিশনের সুবিধা দারুণভাবে কাজে লাগায় বাংলাদেশের বোলাররা। মন্থর গতির উইকেটে খেলতে বেশ অসুবিধা হয়েছে কিউইদের। প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় তারা। টাইগারদের ঘূর্ণির মুখে ৪ ওভারে ৯ রানে ৪ উইকেট খুইয়ে বসে।
সেখান থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি সফরকারীরা। ১৬.৫ ওভারে নিজেদের সর্বনিম্ন টি-টুয়েন্টি সংগ্রহ ৬০ রানে গুটিয়ে যায় কিউইরা। দলটির আগের সর্বনিম্ন সংগ্রহও বাংলাদেশের মাটিতে। ২০১৪ টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে চট্টগ্রামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৬০ রানে অলআউট হয়েছিল তারা।
বাংলাদেশকে প্রথম সাফল্য এনে দেন শেখ মেহেদী। অফস্পিনার ম্যাচের প্রথম ওভারের তৃতীয় বলে ফিরতি ক্যাচে ফেরান অভিষিক্ত রাচিন রবীন্দ্রকে। অভিষেকে গোল্ডেন ডাক কিউই ব্যাটসম্যানের।
তৃতীয় ওভারে উইল ইয়ংকে (৫) বোল্ড করেন সাকিব আল হাসান। তিনি পরে রানের খাতা খুলতে দেননি অভিষিক্ত কোল ম্যাকনকিকে। আউটফিল্ডে মুশফিকের ক্যাচ বানিয়েছেন।
সাকিবের প্রথম উইকেটের পরের ওভারে নাসুম আহমেদ দেন জোড়া ধাক্কা। চতুর্থ ওভারের তৃতীয় বলে কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমকে (১) সীমানার কাছে ক্যাচ বানান। ওভারের শেষ বলে ওপেনার টম ব্লান্ডেলকে (২) করেন বোল্ড।
স্পিনারদের পর বল হাতে নেয়ার সুযোগ পান পেসাররা। হতাশ করেননি তারাও। সাউফউদ্দিন অধিনায়ক ল্যাথামকে (১৮) নাসুমের ক্যাচ বানিয়েছেন। হেনরি নিকোলসকে (১৭) করেছেন মুশফিকের তালুবন্দি।
অন্যদিকে মোস্তাফিজ ডগ ব্রেসওয়েলকে (৫) মেহেদীর ক্যাচ বানানোর পর বোল্ড করেন (৩) আজাজ প্যাটেলকে। তার তৃতীয় উইকেট জ্যাকোব ডাফি, দারুণ ক্যাচ নিয়েছেন সাইফউদ্দিন।
৪ ওভারে ১৫ রানে ১ উইকেট মেহেদীর। সমান ওভারে ১০ রানে ২টি সাকিবের। ২ ওভারে ৫ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন নাসুম। সমান ওভারে ৭ রানে ২ উইকেট সাইফউদ্দিনের। সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেয়া মোস্তাফিজের ২.৫ ওভারে খরচ ১৩ রান।