দেখলে মনে হবে ডোবা কিংবা পুকুর, আসলে রাস্তা

মো. রাসেল হোসেন, ধামরাই:  ছবির জলাবদ্ধতা দেখে মনেই হতে পারে এটা কোন ডোবা নয়তো পুকুর। কিন্তু না এটা একটি কার্পেটিং রাস্তা। বছরের ছয় মাস পানির নিচে থাকে এই রাস্তা।

এটি হচ্ছে, কালামপুর-বালিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের বাস্তা তিন রাস্তার মোড় হতে নয়ারচর পর্যন্ত এলজিইডির কার্পেটিং রাস্তা।

বালিয়া ইউনিয়নে অবস্থিত এই রাস্তাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ চলাচল করেন। এই রাস্তার সাথেই রয়েছে বাস্তা সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়, উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ। এই রাস্তা দিয়েই স্কুল কলেজে ছাত্র ছাত্রীরা চলাচল করেন। অথচ বছরের ছয় মাসই পানির নিচে থাকে। স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা শুধু নয় বিপাকে পড়েছেন কয়েক হাজার মানুষ।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তিন রাস্তার মোড় হতে নয়ারচর যাওয়ার পথে মাঝখানে আধা কিলোমিটার রাস্তা পানির নিচে। জুতা পরে সেই রাস্তা দিয়ে যাওয়া যায় না, যেতে হয় জুতা হাতে নিয়ে। শুধু জলাবদ্ধতায় নয় তার সাথে যুক্ত রয়েছে খানাখন্দ। কোন প্রকার রিকশা, ভ্যান চলাচল করতে পারে না। রাস্তার উপর খেলা করতে দেখা গেছে হাঁসদের।

নাম না প্রকাশে ইচ্ছুক এক ব্যাক্তি বলেন, সমস্যা সমাধানের জন্য স্থানীয় চেয়ারম্যানের কাছে যেয়ে শুধু আশ্বাস মিলেছে। কোন সমাধান হয়নি। বালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আহমদ হোসেন টানা দুই বার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। এবারের মেয়াদও শেষ হওয়ার পথে কিন্তু এই জলাবদ্ধতার সমস্যা সমাধান করতে পারেননি এই চেয়ারম্যান।

কথা হয় মো. কিয়ামুদ্দিন নামে এক ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধর সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, এই রাস্তা বর্ষায় পানির নিচে তলিয়ে থাকে এখান দিয়ে চলাচল করতে আমাদের খুবই সমস্যা হয়। আমরা কোথাও যেতে পারি না। আমরা বহুবার আমাদের চেয়ারম্যান আহমদ হোসেনের কাছে গেছি। তিনি শুধু আশ্বাস দিয়েছেন, এখন পর্যন্ত এই রাস্তার কোন সমাধান করেন নাই।

স্থানীয় গিয়াস উদ্দিন জানান, আমাদের এই রাস্তা শুধু জলাবদ্ধতার সমস্যা নয়, এর সাথে আছে খানাখন্দও। কোন লোক যদি অসুস্থ হয় তাদের হাসপাতালে নিতে সময় বেশি লাগে। কারণ এই জলাবদ্ধতা ও খানাখন্দের কারণে কোন গাড়ি, ভ্যান, রিকশা কোনটাই চলে না। বছরের ছয় মাসই পানির নিচে থাকে এই রাস্তা।

এ ব্যাপারে বালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আহমদ হোসেন বলেন, আসলে এই জলাবদ্ধতা সমস্যার সমাধান কঠিন। আগে এই রাস্তার পানি নিষ্কাশনের জন্য ৩-৪টি পাইপ কালভাট ছিল। সেই কালভাটের উপর অনেকেই বাড়ি করেছেন। তার পরও আমি পানি নিষ্কাশনের জন্য চেষ্টা করছি। ইতিমধ্যে আমি উপজেলার প্রকৌশলীকে জানিয়েছি। তারা রাস্তা পরিদর্শন করেছেন এবং রাস্তা মেপে নিয়ে গেছেন। আশা করছি দ্রুত এ সমস্যা সমাধান হবে।

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী মো. আজিজুল হক জানান, আমরা সরেজমিনে পরিদর্শন করেছি। রাস্তায় জলাবদ্ধতা আছে। রাস্তা কতটুকু জলাবদ্ধতা তা মেপে আনা হয়েছে, বরাদ্দ আসলেই কাজ শুরু করা হবে।

Print Friendly

Related Posts