আরিফুল ইসলাম, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি: উজান থেকে নেমে আসা ঢলে ঝিনাই নদীর পানি টাঙ্গাইলের বাসাইল পয়েন্টে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে নদী ভাঙনের তীব্রতা।পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নিম্নাঞ্চলের ফসলের মাঠ তলিয়ে গেছে।
বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট এবং পানির প্রবল স্রোতে ভেঙে পড়েছে কালভার্ট। পানিবন্দি হয়ে পড়ায় দুর্ভোগে রয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। বানভাসী মানুষদের এখন একমাত্র ভরসা নৌকা।
ঘর থেকে বের হলেই নৌকার প্রয়োজন।নৌকা ছাড়া কোথাও যেতে পারি না তাই বলা চলে নৌকায় এখন আমাদের ভরসা এই কথা গুলো প্রতিবেদককে এমন করেই বলছিলেন উপজেলার কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের আদাজান গ্রামের ৭৫ বছরের করিম খান ।
সালেকিন নামে এক স্কুল ছাত্র জানান, ঔষধ কিনতে চাইলেও বাসাইল যেতে হয়। এখন তো বাড়ি থেকে বের হলেই নৌকা লাগে তাই আমাদের নৌকা ছাড়া এখন কোন উপায় নাই।
বিরেন নামে এক দোকানী বলেন, বাসাইল বাজারে মুদি দোকান করি, সকাল সকাল দোকানে যেতে হয়। এতো সকালে নৌকা পাওয়া যায় না তাই অনেক সমস্যার মধ্যে আছি। আমাদের পাকা রাস্তাটি যদি ৩ ফিট উচু থাকতো তাহলে বাসাইলের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষদের এই দূর্ভোগ পোহাতে হতো না।
বাসাইল উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল জলিল বলেন, রাস্তাটি নিচু হওয়ায় প্রতি বছরই রাস্তাটিতে পানি উঠে। উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। বন্যা পূর্নবাসন প্রকল্পের কাজ শুরু হলে রাস্তাটি উচু করার পরিকল্পনা রয়েছে।
পৌরমেয়র বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহিম আহমেদ জানান, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত দুই হাজার মানুষের মাঝে চাল এবং নগদ টাকা কয়েকদিনের মাঝেই পৌঁছে দেওয়া হবে।
বাসাইল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী অলিদ ইসলাম জানান, নিম্নাঞ্চল হওয়ায় প্রতিবছরই পানিবন্ধি হন কয়েক গ্রামের মানুষ। নতুন নতুন রাস্তা নির্মাণ হচ্ছে। আরো কয়েকটি রাস্তার প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে। ভেঙ্গে যাওয়া ব্রিজ এবং রাস্তাগুলোর কাজ শেষ হলেই মানুষের দুর্ভোগ কমে যাবে।