মৌসুম বিরতির ছুটিতে বেশ ওজন বাড়িয়েছেন নেইমার। মৌসুমের শুরুতেও প্রায় একই অবস্থা দেখা যাচ্ছে তার। কিন্তু ব্রাজিলিয়ান এই ফরোয়ার্ডের দাবি, ওজন নিয়ন্ত্রণেই আছে। অনেকের মতেই বাড়তি মেদের কারণে গত পরশু চিলির বিপক্ষে জ্বলে উঠতে পারেননি। আবার কারো মতে, বন্ধু লিওনেল মেসির বিপক্ষেই নিজের সেরাটা জমিয়ে রেখেছেন এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। কোপা আমেরিকার প্রায় দুই মাস পর রোববার দিবাগত রাত ১টায় বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে আবারো মুখোমুখি হচ্ছে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা।
মহারণের আগে দুই দলেই বিরাজ করছে শেষ ম্যাচে জয়ের আত্মবিশ্বাস। ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে ৩-১ গোলের জয় নিয়ে ব্রাজিলের মারাকানা স্টেডিয়ামে পৌছায় আর্জেন্টিনা। সেই তুলনায় চিলির বিপক্ষে জিততে বেশ ঘাম ঝরাতে হয়েছে সেলেসাওদের। কেননা ভ্রমণ জটিলতার কারণে শীর্ষ ৯ খেলোয়াড়কে পায়নি তারা। তবুও এভেরটন রিভেইরোর একমাত্র গোলে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে টানা সপ্তম জয় তুলে নেয় তিতে শিষ্যরা।
আর্জেন্টিনার বিপক্ষে জিতে সংখ্যাটা আটে পরিণত করতে চান এভেরটন। চিলির বিপক্ষে ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, ‘টানা সাত জয় ঐতিহাসিক। এটা একটা ডার্বি এবং সত্যিই কঠিন একটা ম্যাচ এবং আমাদের আরও একটা ম্যাচ জেতার আশা থাকবে।’
অপরদিকে আর্জেন্টিনাও ছেড়ে কথা বলতে রাজি নয়। ৭ ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয়তে থাকা মেসিরা পুনরাবৃত্তি করতে চায় কোপা আমেরিকার সেই ফাইনালের। যেখানে আনহেল ডি মারিয়ার একমাত্র গোলে ২৮ বছর পর আন্তর্জাতিক শিরোপার দেখা পায় আলবিসেলেস্তারা। তবে কোচ লিওনেল স্কালোনির জন্য চিন্তার কারণ হতে পারে তারকা ফরোয়ার্ড লিওনেল মেসির চোট। ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে বাজে ভাবে ফাউলের শিকার হন তিনি। এদিক থেক ওদিক হলেই ঘটতে পারতো বিপদ।
সেই ঘা যে এখনো কাটেনি, তা বোঝা গেছে গতকালই। বাস থেকে খুড়িয়ে খুড়িয়ে নেমে অনুশীলনে গিয়েছিলেন মেসি। চোট ছাড়াও মেসির ফর্মও আলোচ্য বিষয়। বিরতির পর খেলা দুটো ম্যাচেই ছিলেন নিজের ছায়া হয়ে ছিলেন। আজ হয়তো পিএসজি ফরোয়ার্ডের কাছ সেটা আশা করবেন না আর্জেন্টাইন ভক্তরা।
সম্ভাব্য একাদশ:
ব্রাজিল: ওয়েভেরটন, দানিলো, মারকিনিওস, মিলিতাও, সান্দ্রো, পাকেতা, ক্যাসেমিরো, গিমারেজ, বারবোজা, নেইমার, ভিনিসিয়াস।
আর্জেন্টিনা: এমিলিয়ানো, মলিনা, পেজ্জেলা, ওতামেন্দি, তালিয়াফিকো, ডি মারিয়া, ডি পল, লো সেলসো, রদ্রিগেজ, মেসি, লাওতারো।