আরিফুল ইসলাম, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি: শতভাগ বিদ্যুতায়িত উপজেলা বাসাইলে চলছে বিদ্যুতের ভেল্কিবাজি। ঘণ্টার পর ঘন্টা লোডশেডিংয়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। আবার কখনো কখনো দেখা যাচ্ছে মিস কল আদলের লোডশেডিং। সরকারের শতভাগ বিদ্যুতায়নকে কলঙ্কিত করতেই বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীরা ঠুনকো অজুহাতেই ঘণ্টার পর ঘন্টা বিদ্যুৎ বন্ধ রাখছেন বলে অভিযোগ করেছেন গ্রাহকরা।
গ্রাহকদের অভিযোগ, দিনের বেলা ঘণ্টার পর ঘন্টা লোডশেডিং থাকলেও রাতে একই পরিস্থিতি বিরাজ করে। এতে তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। বাসাইল বিদ্যুৎ অফিসের এমন কার্যকলাপ দীর্ঘদিন ধরে চললেও এর কোন প্রতিকার হচ্ছে না।
কাঞ্চনপুর পশ্চিমপাড়ার রাকিব খান বলেন, দিনের বেলাতে তো বিদ্যুৎ থাকেই না। মধ্য রাতেও বিদ্যুত থাকে না। আমরা না হয় যুবক পোলাপান সহ্য করতে পারি কিন্তু শিশু ও বয়োজ্যেষ্ঠরা গরমে ছটফট করে।
সৈদামপুর এলাকার প্রণয় সরকার বলেন, কয়েকদিন ধরে প্রচুর গরম পরেছে। এরই মাঝে বার বার বিদ্যুৎ চলে যায়। দীর্ঘ সময় পার হলেও বিদ্যুতের দেখা মিলে না। বিদ্যুৎ অফিসে ফোন দিলে কেও ফোন ধরেও না। বিদ্যুৎ না থাকায় রাতে ঘুমাতে পারি না অথচ মিটারের রিডিং এর থেকে বিল বেশি করে।
হৃদয় নামে এক গ্রাহক বলেন, সাধারণ পরিবারের একজন গ্রাহকের বিদ্যুৎ বিল ৮০০ টাকা থেকে ১৫০০ টাকা হয়। এটা দেখার কেউ নেই। ইচ্ছে মতো যা খুশি করে যাচ্ছে বাসাইল বিদ্যুৎ অফিস।
পল্লী বিদ্যুতের বাসাইল জোনালের এজিএম মহিউদ্দিন বলেন, বাসাইল যেহেতু নিচু এলাকা বন্যার কারনে অনেক সময় বিদ্যুৎ বন্ধ রাখতে হয়। মিটার রিডিং না দেখে কখনো বিল করা হয়।যদি কেউ অভিযোগ জানায় আমরা ব্যবস্থা নিবো।
পল্লী বিদ্যুতের বাসাইল জোনাল কার্যালয়ের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) শওকাতুল আলম বলেন , বিদ্যুৎ উৎপাদন কম হচ্ছে এজন্য টাঙ্গাইল গ্রিড থেকেই লোডশেডিং হচ্ছে। আশা রাখছি সাত দিনের মধ্যে এ সমস্যা সমাধান হবে।