ইফতেখার শাহীন: প্রায় দু’মাস ধরে ম্লান হয়ে গিয়েছিলো কৃষকের মুখের হাসি। অতি বর্ষণের ফলে আমনের বীজতলায় পঁচন ধরে বেহাল দশায় দিশেহারা হয়ে পড়েছিলেন বরগুনার আমন চাষীরা। যা প্রকৃত কৃষকদের কষ্টদায়ক অবস্থার কারণ হয়েছিল। তবে সব বাঁধা পেরিয়ে আবারও ঘুরে দাঁড়িয়েছেন কৃষকরা তাদের নিজ উদ্যোগে নিজ অবস্থানে। এ যেন কৃষকদের মাঝে এক স্বস্তিদায়ক পরম সুখানুভূতি।
আমনের বীজতলা তৈরি ও বীজ রোপণের সময় ভাদ্রের প্রথম দিকে হলেও অনাকাঙ্ক্ষিত দীর্ঘদিনের অতি বর্ষণে স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে গিয়েছিল বরগুনার কৃষককূলের। আজ সে ভাঙ্গা স্বপ্ন আবার জোড়া লাগতে শুরু করেছে। বরগুনা সদর উপজেলার অধিকাংশ ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে কৃষকদের তৈরি জমিতে আমনের বীজ রোপনের মহা ধুম। বুনছে তাদের কাঙ্ক্ষিত স্বপ্ন। যে স্বপ্ন অল্প দিনেই তৈরি করে দিবে হাজারো মানুষের খাদ্যের চাহিদা।
সদর উপজেলার গৌরিচন্না ইউনিয়নের লাকুরতলা গ্রামের নুর ইসলাম নামের কৃষক জানান, অতি বৃষ্টির কারণে আমনের বীজতলায় পঁচন ধরলে যথা সময় প্রস্তুতকৃত জমিতে বীজ রোপণ করতে পারেননি। তাই পুনরায় বীজতলা তৈরি করতে হয়েছে। এ অবস্থা অনেক কৃষকেরই। এতে প্রায় এক থেকে দেড় মাস পিছিয়ে গেছেন তারা।
কৃষকদের এ সকল সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসেনি বরগুনার কৃষি বিভাগ। অথচ এ অবস্থায় কৃষি কর্মকর্তাদের মাঠ পর্যায় সাহায্য ও পরামর্শ অতিব জরুরী ছিলো বলে মনে করেন তারা।
এ ব্যাপারে বরগুনার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ আবদুর রশীদ জানান- পানিতে বীজতলা তলিয়ে থাকার কারণে নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন কৃষকরা। সে ক্ষেত্রে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার চেষ্টা করব।