মাদকনির্ভরশীল এবং মানসিক সমস্যাগ্রস্থ রোগীদের চিকিৎসায় মনোরোগবিশেষজ্ঞ এর পাশাপাশি কাউন্সেলরের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চিকিৎসা কেন্দ্রে সঠিকভাবে ও নিয়মিত কাউন্সেলিং একজন রোগীর সুস্থতার সম্ভাবনা অনেকাংশে বৃদ্ধি করে।
এই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) আহ্ছানিয়া মিশন নারী মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের আয়োজনে উক্ত কেন্দ্রে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে পারিবারিক সভা আয়োজন করা হয়।
সভার মূল আলোচ্য বিষয় ছিলো মাদকনির্ভরশীল ও মানসিক সমস্যার রোগীদের চিকিৎসায় ‘‘কাউন্সেলরের ভূমিকা’’। সভাটি ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য সেক্টরের ট্রেনিং রুমে অনুষ্ঠিত হয়।
সভার বিশেষজ্ঞ আলোচক ছিলেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট এর ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. জহির উদ্দিন এবং ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন, স্বাস্থ্য সেক্টরের সিনিয়র সাইকোলজিস্ট রাখী গাঙ্গুলী।
সভার মূল আলোচ্য বিষয়ে উপস্থাপনা করেন আহ্ছানিয়া মিশন নারী মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের সাইকোস্যোসাল কাউন্সেলর মমতাজ খাতুন।
উপস্থাপনায় কাউন্সেলিং কি, মাদকাসক্ত ও মানসিক সমস্যার রোগীদের চিকিৎসায় কাউন্সেলিং এর বিভিন্ন দিক ও কেন্দ্রের কাউন্সেলিং সার্ভিস নিয়ে আলোচনা করেন।
বিশেষজ্ঞ আলোচক তার বক্তব্যে বলেন গবেষণা ভিত্তিক চিকিৎসা ব্যবস্থায় মাদকনির্ভরশীল এবং মানসিক রোগীদের জন্য কাউন্সেলিং এর ভূমিকা অপরিসীম, এছাড়াও তিনি বলেন চিকিৎসা পরবর্তীতে সুস্থ থাকতে কেন্দ্রের সাথে রোগীকে বিভিন্নভাবে সম্পৃক্ত থাকা প্রয়োজন এবং একই সাথে রোগীর সমস্যার পর্যায়নুযায়ী দীর্ঘমেয়াদে চিকিৎসা কেন্দ্রে চিকিৎসা নিলে সুস্থ থাকার হার অনেক বৃদ্ধি পায়।
আলোচকগণ পরে মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণকারীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
সিনিয়র সাইকোলজিস্ট রাখী গাঙ্গুলী চিকিৎসা মেয়াদ সম্পন্ন করা এবং একই সাথে রোগীর পাশাপাশি রোগীদের পরিবারের সদস্যদের মানসিক স্বাস্থ্য সেবা গ্রহণের গুরুত্ব নিয়ে বলেন।
সভাটি সঞ্চালনা করেন আহ্ছানিয়া মিশন নারী মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার উম্মে জান্নাত।
সবশেষে সভায় সমাপনী বক্তব্য প্রদান করেন কেন্দ্র ব্যবস্থাপক রুনা লায়লা।