সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে শুরুটা জয় দিয়ে করতে চেয়েছিল বাংলাদেশ। চাওয়ার সঙ্গে বাস্তবে তা প্রয়োগ করে দেখিয়েছেন জামাল ভূঁইয়ারা। অস্কার ব্রুজনের অধীনে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেই তারা শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছে ১-০ গোলে।
প্রথমার্ধে বল দখলে এগিয়ে থাকলেও লক্ষ্যভেদ করতে পারেনি লাল-সবুজ দল। স্কোরলাইন ছিল গোলশূন্য। ম্যাচের প্রথম ৫ মিনিট দাপট দেখানোর চেষ্টা করেছে শ্রীলঙ্কা। কিন্তু গোলকিপার আনিসুর রহমান জিকোর পরীক্ষা নিতে পারেনি তারা। বাংলাদেশ কিছুটা গুছিয়ে খেলে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ অনেকটাই নিয়ে নেয়। আক্রমণও হয়েছে অনেক। তবে অন টার্গেটে শট নিতে ব্যর্থ ছিল।
ম্যাচ ঘড়ির ৮ মিনিটে ইয়াসিন আরাফাতের লম্বা থ্রো-ইন থেকে তপু বর্মণের প্রচেষ্টা বাধাপ্রাপ্ত হয় লঙ্কান রক্ষণে। পেনাল্টির আবেদন করলেও রেফারি তাতে সায় দেননি।
বাংলাদেশের আক্রমণের জবাবে লঙ্কানরা মাঝে মধ্যেই চেষ্টা করেছে, কিন্তু সফল হতে পারেনি। ২০ মিনিটে লঙ্কানদের হারাশা ফার্নান্দোর জোরালো শট ক্রসবারের অনেক ওপর দিয়ে গেছে।
দুই মিনিট পর জামাল ভূঁইয়ার শটও ক্রসবারের অনেক ওপর দিয়ে যায়। ২৯ মিনিটে রাকিবের জোরালো শট হয় লক্ষ্যভ্রষ্ট। যোগ করা সময়ে সবচেয়ে ভালো সুযোগ ছিল বাংলাদেশের সামনে। ইয়াসিন আরাফাতের ক্রসে তপু বর্মণের হেড গোলকিপার সুজন পেরারা কোনোমতে প্রতিহত করলে কাঙ্ক্ষিত গোল পাওয়া হয়নি।
বিরতির পর জুয়েল রানার জায়গায় একাদশে আসেন সাদ উদ্দিন। এছাড়া মতিন ও সুফিলও নেমেছেন। ৫০ মিনিটে শ্রীলঙ্কা সুযোগ পেয়ে লক্ষ্যভেদ করতে না পারলেও বাংলাদেশ পেয়ে যায় পেনাল্টি।
৫৪ মিনিটে বিপলু আহমেদের শট ডিফেন্ডার ডাকসন পুসলাস হাত দিয়ে প্রতিহত করার চেষ্টা করেছিলেন। সঙ্গে সঙ্গে স্পটকিকের বাঁশি বাজান রেফারি। পাশাপাশি দুই হলুদে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয়েছে পুসলাসকে। স্পটকিক থেকে তপু বর্মণ গোলকিপারের বিপরীত দিক দিয়ে লক্ষ্যভেদ করে হাজারো প্রবাসীকে আনন্দে ভাসিয়েছেন।
১০ জনের দল নিয়ে লঙ্কানরা ৭৭ মিনিটে গোল শোধ দেওয়ার সুযোগ পেয়েছিল। কিন্তু রাজিকের শট গোলকিপার আনিসুর তালুবন্দি করায় তারা ব্যর্থ হয়েছে। এরপর জামালের ফ্রিকিকে মতিনের হেড লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে ব্যবধান বাড়াতে পারেনি জামালরা।
শেষে তপুর গোল পুঁজি করেই সাফে প্রথম ম্যাচে তিন পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছেড়েছে বাংলাদেশ। আগামী ৪ অক্টোবর ফেভারিট ভারতের মুখোমুখি হবে জামাল-সুফিলরা। অন্য ম্যাচে শেষ মুহূর্তে একমাত্র গোলে স্বাগতিক মালদ্বীপকে হারিয়েছে নেপাল।