রোববার (৩ অক্টোবর) মধ্যরাত থেকে সাগর ও নদীতে শুরু হচ্ছে ইলিশ শিকারে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা।
মা ইলিশের বাধাহীন প্রজননের জন্য ২০০৬ সাল থেকে এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে আসছে সরকার। এতে বেড়েছে ইলিশের উৎপাদন।
নিষেধাজ্ঞার কারণে ইতোমধ্যে পটুয়াখালীর মহিপুর ও আলীপুরের শিববাড়িয়া নদীতে এসে পৌঁছেছে সমুদ্রগামী মাছধরা হাজারো ট্রলার।
আশ্বিনের পূর্ণিমার শেষ সময়ে গভীর সাগর থেকে উপকূলীয় অঞ্চলের নদীর মোহনায় এসে ডিম ছাড়ে মা ইলিশ। প্রজননের এ সময়কে বাধাহীন করতে ৩ অক্টোবর রাত ১২টা থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত ২২দিনের জন্য নদী ও সমুদ্র থেকে সকল ধরনের মাছ শিকার, পরিবহন, মজুদ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় নিষিদ্ধ করেছে মৎস্য অধিদপ্তর। মৎস্য বিভাগের সময়পোযোগী এমন সিদ্ধান্তে মাছের উৎপাদন বাড়ায় খুশী জেলেরা। তবে কর্মহীন এসময়ে জেলে প্রতি দেওয়া হয় মাত্র ২০ কেজি চাল। সেটাও কাঙ্ক্ষিত সময়ে পায়না বলে জানান জেলেরা। অবরোধকালীন সময়ে জেলেদের প্রনোদনা বাড়ানোর দাবী জানিয়েছেন মৎস্য সংশ্লিষ্টরা।
এছাড়া নিষেধাজ্ঞার সময়ে প্রতিবেশি দেশের জেলেরা ইলিশ শিকার করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ জেলেদের।
সাগর থেকে ফিরে আসা এফবি মুনিয়া মরিয়ম ট্রলারের মাঝি আনিস মিয়া বলেন, অবরোধকালীন সময়ে আমরা বেকার থাকি। অন্য কোন কাজও জানিনা। এসময়ে পরিবার পরিজন নিয়ে চলতে খুব কষ্ট হয়। ২০ কেজি চাল পাবো। তাও কতদিন পরে সেটা ঠিক নেই। তবে সরকারের কাছে প্রনোদনা বাড়ানোর দাবি জানাচ্ছি।
মাঝি জয়নাল উদ্দিন জানান, পরিবারে ৫ জন সদস্য। ২২ দিনের জন্য ২০ কেজি চাল পাবো। এ চাল দিয়ে তো আর সংসার চলবে না। অবরোধের কয়দিন অন্য কাজ খোঁজ করতে হবে।
পটুয়াখালী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এমদাদুল্লাহ জানান, অবরোধ সফল করতে প্রচারণাসহ জেলে-ব্যবসায়ীদের নিয়ে বৈঠক হয়েছে। প্রতিনিয়ত সাগর ও নদীতে মৎস্য বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে। এছাড়া পার্শ্ববর্তী জেলেদের অনুপ্রবেশ বন্ধে গভীর সাগরে কোষ্টগার্ড ও নৌবাহিনীর অভিযান থাকবে। জেলার নিবন্ধিত ৬৩ হাজার ৮শ‘ ইলিশ শিকারী জেলেদের ২৫ অক্টোবরের মধ্যে ২০ কেজি করে চাল দেওয়া হবে।