দুর্গাপূজায় এবার আসছে উত্তমের নতুন গান ‌‌’জাগো মা’ ও ‌‌‌’বৃষ্টি’

এবারের দুর্গাপূজা উপলক্ষে মুক্তি পাচ্ছে উত্তমের নতুন মৌলিক গান ‌‌’জাগো মা’। অতিমারী আবহে পুজো মণ্ডপে মা দুর্গাকে এই গান গেয়েই স্বাগত জানাতে চান সঙ্গীতশিল্পী উত্তমকুমার রায়।

গানটি তার নিজেরই লেখা, সুর ও সঙ্গীতায়োজনএ করা। বানিয়েছন নিজের স্টুডিওতেই। শিল্পীর নিজের ইউটিউব চ্যানেল উত্তম মিউজিক স্টেশন থেকে মুক্তি পাচ্ছে ‘জাগো মা’। অন্য গানটির টাইটেল ‌’বৃষ্টি’।

চিরন্তন প্রেম ও বিরহের এই গানের কথা লিখেছেন মেধাবী গীতিকবি সুস্মিতা দেবনাথ। গানটিতে উত্তমের সঙ্গে দ্বৈতভাবে কণ্ঠ দিয়েছেন একজন উদীয়মান নারী কণ্ঠশিল্পী। তার নামটি চমক হিসেবে এখানে অপ্রকাশ্য রাখতে চান তিনি। দশমির আগেই গান দু‌’টি অনলাইনে মুক্তি পাবে।

উল্লেখ্য, গত বছর করোনা আবহেই কৈলাস থেকে সপরিবারে আবির্ভূত হয়েছিলেন দেবী দুর্গা এবারও যায়নি অতিমারীর কাঁটা। শিয়রে কড়া নাড়ছে করোনার নতুন কোনো ঢেউয়ের । এমন পরিস্থিতিটি এই গানে সচেতনতাভাবে আনা হয়েছ। গানের লাইনগুলিতে রয়েছে এমনই কথা। দেশ তথা গোটা দুনিয়া সংক্রমণমুক্ত হোক। মায়ের কাছে সে প্রার্থনাই করা হয়েছে। সেই সঙ্গে শাখ-বাদ্যি, কাঁসর-ঘণ্টা জুড়ে গানটিকে উৎসব মুখরও করা হয়েছে।

ছেলেবেলা থেকেই উত্তমের গান গাওয়ার শুরু। স্কুল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় জীবন। সবখানেই সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে জুটেছে সম্মান আর পুরষ্কার। উত্তমের পড়াশুনা চট্ট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। বিষয় সমাজবিজ্ঞান। নজরুল ইন্সটিটিউট থেকে ডিপ্লোমায় প্রথম শ্রেণি প্রাপ্ত ও সরকারি এই প্রতিষ্ঠানটির নজরুলের প্রশিক্ষক হিসেবে সার্টিফিকেটধারী। এছাড়া রবীন্দ্রভারতী থেকে বিমিউজ সম্পন্ন করেছেন। তালিম নিয়েছেন বাংলাদেশ ও ভারতের খ্যাতিমান সব সঙ্গীতজ্ঞের কাছে। এখন নিজেও গান শেখান। উত্তম একটি বেসরকারি মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিষয়ের সহকারি অধ্যাপক। গণমাধ্যমকর্মী হিসেবেও কাজ করছেন দীর্ঘদিন। উত্তম বিটিভিসহ প্রায় সবগুলো বেসরকারি টিভি চ্যানলে লাইভসহ রেকর্ডেড নানা ধারার গানের অনুষ্ঠান করে নাম কুড়িয়েছেন।

বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশনে মূলত নজরুলসঙ্গীত ও আধুনিক গান করেন উত্তম। গভীর আবেগী গায়নভঙ্গীর অনন্যতার জন্য এরইমধ্যে উত্তম সঙ্গীতজনদের দৃষ্টি কেড়েছেন। সমানতালে স্টেজ শো-ও করতেন নিয়মিত – করোনায় যাতে অন্যান্য শিল্পীদের মতোই বাধ সেধেছে । সব ধরণের সঙ্গীতেই উত্তমের আগ্রহ। শুনেনও শাস্ত্রীয় সঙ্গীত থেকে শুরু করে পাশ্চাত্য রক-ফিউশন নির্বিচারে। গানের জন্য অনেক ত্যাগ স্বীকারও করেছেন তিনি। আজ আর গান গাওয়ার কোনো বিকল্পই খুঁজে পান না।

Print Friendly

Related Posts