ধামরাইয়ের সাত ইউনিয়নে নৌকার নতুন মুখ

মো. রাসেল হোসেন, ধামরাই: দ্বিতীয় ধাপে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ঢাকার ধামরাই উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নের মধ্যে সূতিপাড়া ইউনিয়ন বাদে ১৫টি ইউনিয়নের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১১ নভেম্বর। এসব ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যানসহ দলীয় প্রতীক প্রত্যাশী ছিলেন ৫৭ জন।

এর মধ্যে নৌকার নতুন সাত মুখ এসেছেন আর বাকী সাত পদে নৌকার বর্তমান চেয়ারম্যান রয়েছে। তবে কুশুরা ইউনিয়নে এখন পর্যন্ত নৌকার মাঝি কে হবে ঠিক হয়নি।

শনিবার রাতে নৌকার প্রার্থী চুরান্ত করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।

সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় ও স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সূয়াপুর ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান সোহরাবের পরিবর্তে মুক্তিযোদ্ধা কফিল উদ্দিন, বালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি আহমদ হোসেনের পরিবর্তে মুজিবর রহমান, চৌহাট ইউনিয়নে পারভীন হাসানের পরিবর্তে আনোয়ার হোসেন সিকদার, আমতা ইউনিয়নে আবুল হোসেনের পরিবর্তে আরিফ হোসেন, গাঙ্গুটিয়া ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান কাদের মোল্লা, সানোড়া ইউনিয়নে বর্তমান খালেদ মাসুদ লাল্টু, সোমভাগ ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান আজাহার আলী, নান্নার ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেনের পরিবর্তে আবুল বাসার বাদশা, রোয়াইল বর্তমান চেয়ারম্যান আবুল কালাম সামসুদ্দিনের পরিবর্তে কাজীম উদ্দিন খান, কুল্লা ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান কালিপদ সরকার, ধামরাই ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দিন, ভাড়ারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান শাহ আলম, বাইশাকান্দা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান বি এম মাসুদ রানার পরিবর্তে মিজানুর রহমান ও যাদবপুর ইউনিয়নে বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ইছাক আলী আইয়ূবের পরিবর্তে আবদুল মজিদকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।

তবে কুশুরা ইউনিয়নে দলীয় মনোনয়ন কোনো প্রত্যাশীকে দেওয়া হয়নি। জানা গেছে, এ ইউনিয়নে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী স্থানীয় সংসদ সদস্য বেনজীর আহমদের ভগ্নিপতি নুরুজ্জামান ও বর্তমান চেয়ারম্যান এনায়েত হোসেনের সঙ্গে তীব্র প্রতিযোগিতা চলছে।

দুইজনেরই শক্তশালী লবিস্ট রয়েছে। ফলে আপাতত বলা যাচ্ছে না কে পাচ্ছেন এ ইউনিয়নে দলীয় মনোনয়ন। ইউনিয়নটিকে ঘিরেই যত জল্পনা-কল্পনা রয়েছে ধামরাইবাসীর।

Print Friendly, PDF & Email

Related Posts