টাঙ্গাইলে ১ ঘন্টার মেয়র হুমায়রা বিনতে হারুন

আরিফুল ইসলাম, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি : টাঙ্গাইল  পৌরসভার মেয়র সিরাজুল হক আলমগীরের কাছ থেকে একঘন্টার জন্য দায়িত্ব গ্রহণ করে প্রতিকী মেয়রের দায়িত্ব পালন করেছেন হুমায়রা বিনতে হারুন (১৬) নামের কন্যা।
সোমবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়রের রুমে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের গার্লস টেকওভার কর্মসূচির আয়োজন করে ন্যাশনাল চিলড্রেনস টাস্ক ফোর্স (এনসিটিএফ) টাঙ্গাইল জেলা শাখা।
টাঙ্গাইল পৌরসভার অফিসিয়াল কভার ফাইলের মাধ্যমে দায়িত্ব হস্তান্তর করেন বর্তমান মেয়র সিরাজুল হক আলমগীর ও দায়িত্ব গ্রহণ করেন ন্যাশনাল চিলড্রেনস টাস্ক ফোর্স (এনসিটিএফ) টাঙ্গাইল জেলা শাখার ভাইস প্রিসিডেন্ট বিন্দুবাসিনী বালিকা বিদ্যালয়ের দশম  শ্রেণির শিক্ষার্থী হুমায়রা বিনতে হারুন ।
এসময় হুমায়রা বিনতে হারুন বলেন, আজকের এই প্রতিকি দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে আমি একজন কিশােরী কন্যা  হয়েও টাঙ্গাইল পৌরসভার মত একটি ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্ব প্রদানকারীর ভূমিকা পালন করতে পেরে নিজেকে ধন্য ও গর্বিত মনে করছি। এতে আমি আরও আত্মবিশ্বাসী এবং নিজের স্বপ্ন পুরণে অঙ্গীকারাবদ্ধ হয়েছি। বর্তমানে টাঙ্গাইল পৌরসভার অবকাঠামাে, পরিবেশ ও বিনােদন এবং সৌন্দর্য্য বর্ধনে ব্যাপক কাজ চলমান। তবে টাঙ্গাইল পৌরসভাকে নারী ও শিশুর জন্য নিরাপদ ও যৌন হয়রানী বা নির্যাতন এবং বৈষম্যহীন শ্রেষ্ঠ শহর হিসেবে গড়ে তুলতে কয়েকটি প্রস্তাব উপস্থান করেন।
মেয়র সিরাজুল হক আলমগীর  বলেন, নারীদের বা আমাদের কন্যাদের একটু বেশি সুযোগ দিলে তারা অনেক কিছু করতে পারে। তাদের সুযোগ দেওয়া প্রয়োজন। আজ আমার খুবই ভালো লাগছে এরকম একজন কন্যা  মেয়রে চেয়ারে বসে তার অবস্থান থেকে বক্তব্য দিচ্ছে। এরকম বয়সে আমরা ঠিক কথাও বলতে পারতাম না ।   আজকে প্রতিকী মেয়রের সাহেবের দাবি ও সুপারিশ গুলো আমরা আমাদের কর্মপরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত করবো এবং বাস্তবায়নে উদ্যোগ গ্রহণ করবো।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, এনসিটিএফ ডিস্ট্রিক্ট ভলান্টিয়ার নুসরাত হাসান, মেহেদী হাসান, পৌরসভার কাউন্সিল ও কর্মকর্তা বৃন্দ।
গার্লস টেকওভার’ আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল-এর একটি বৈশ্বিক কার্যক্রম। কন্যা শিশুরা সমান সুযােগ এবং সমানাধিকার পেলে বদলে দিতে পারে তাদের নিজের জীবন, তাদের আশেপাশের সমাজ এবং সমাজের মানুষদের-এমন বিশ্বাস থেকেই ‘গার্লস টেকওভার কর্মসূচীর উদ্যোগ গ্রহণ এবং বাস্তবায়ন করে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল। এই কর্মসূচীর মাধ্যমে একজন কিশােরী, কন্যা শিশু অথবা যুব নারীকে নেতৃত্ব প্রদানকারীর ভূমিকা পালন করতে সহায়তা করা হয়, যাতে করে তার আত্মবিশ্বাস বাড়ে এবং নিজের স্বপ্ন পূরণে সে অঙ্গীকারাবদ্ধ হয়।
Print Friendly

Related Posts