ভারতীয় আনন্দবাজার পত্রিকা লিখেছে, বাংলাদেশের বিশ্বকাপের মূলপর্বে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কঠিন হয়ে গেল
বিস্তারিত রিপোর্টে বলা হয়-
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে শুরুতেই অঘটন। স্কটল্যান্ড ৬ রানে হারিয়ে দিল বাংলাদেশকে। এর ফলে শাকিব আল হাসান, মাহমুদুল্লাদের বিশ্বকাপে খেলা বড় প্রশ্নের মুখে পড়ে গেল।
রবিবার স্কটল্যান্ড প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৪০ রান তোলে। জবাবে বাংলাদেশ ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৩৪ রানে থামে। ব্যাটে, বলে ভাল করে ম্যাচের সেরা হন স্কটল্যান্ডের ক্রিস গ্রেভস।
বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদুল্লা টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন। স্কটল্যান্ডের শুরুটা একেবারেই ভাল হয়নি। ১২ ওভারের মধ্যে ৫৩ রানে ৬ উইকেট হারায় তারা। তখন মনে হচ্ছিল স্কটল্যান্ড ১০০ রানও করত পারবে না।
সাত নম্বরে নেমে গ্রেভস ২৮ বলে ৪৫ রানের ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলেন। তাঁর ইনিংসে ৪টি চার, ২টি ছয় রয়েছে। তাঁকে সঙ্গত দেন মার্ক ওয়াট। তিনি ১৭ বলে ২২ রান করেন। সপ্তম উইকেটে দু’জনে ছয় ওভারে ৫১ রান যোগ করেন। অষ্টম উইকেটে গ্রেভস ও জস ডেভি দুই ওভারে ২৭ রান যোগ করেন। এই দুটি জুটিই শেষ পর্যন্ত ম্যাচের তফাৎ গড়ে দেয়।
এর আগে জর্জ মুনসে (২৩ বলে ২৯) ছাড়া স্কটল্যান্ডের কেউ ভাল রান পাননি। শাকিবের বাঁহাতি স্পিন এবং মেহদি হাসানের অফ স্পিন সামলাতে তখন হিমসিম খাচ্ছেন স্কটল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা। মেহেদি ৪ ওভারে ১৯ রান দিয়ে ৩টি এবং শাকিব ৪ ওভারে ১৭ রানে ২ উইকেট নেন।
রান তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশ কোনও সময়ই রান তোলার গতি বাড়াতে পারেনি। দলের ১৮ রানের মধ্যে লিটন দাস (৭ বলে ৫), সৌম্য সরকার (৫ বলে ৫) ফিরে যান। শাকিব (২৮ বলে ২০), মুশফিকুর রহিম (৩৬ বলে ৩৮), মাহমুদুল্লা (২২ বলে ২৩) বড় রান করতে পারেননি। শেষ দিকে মেহেদি (৫ বলে অপরাজিত ১৩) চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু পারেননি।
স্কটল্যান্ডের বোলারদের মধ্যে ব্র্যাড হুইল ২৪ রানে ৩ উইকেট নেন। গ্রেভস ১৯ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন।
এই হারের ফলে বাংলাদেশের বিশ্বকাপের মূলপর্বে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কঠিন হয়ে গেল। বাংলাদেশের পরের ম্যাচ ওমানের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার ১৯ অক্টোবর।